সুভাষ ভৌমিক কার? বাংলা না গোয়ার? এটাই এখন অমীমাংসিত প্রশ্ন।
চার্চিল ব্রাদার্সের টিডি হওয়ার প্রস্তাব যেমন হাতছাড়া করতে চান না সুভাষ, তেমনই বাংলাকে ভাসিয়ে দিয়ে যেতে পারছেন না। উল্লেখ্য, এ বছর সন্তোষ ট্রফিতে বাংলা দলের টিডি হিসেবে সুভাষ ভৌমিককেই বেছে নিয়েছিল আইএফএ। এমনকী তিনি কাজও শুরু করে দিয়েছিলেন। হঠাৎ করেই সুখবিন্দর সিংহের পদত্যাগের পর চার্চিলের প্রস্তাব চলে আসে সুভাষের কাছে। আর সে জন্যই সোমবার আইএফএ-তে সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন নিউ আলিপুরের বাসিন্দা। পরে বললেন, “আইএফএ সচিবকে পুরো ঘটনা জানিয়েছি। উনি অনুমতি দিলে তবেই চার্চিলে যোগ দেব। আমি এখনও চার্চিলের সঙ্গে চুক্তিপত্রে সই করিনি।”
সুভাষ ভৌমিকের সঙ্গে আলোচনা করার পর বাংলার ভবিষ্যৎ নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গেছেন উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়। শুধুমাত্র বাংলার স্বার্থের কথা ভেবে সুভাষ ভৌমিককে রাখবেন না ছেড়ে দেবেন সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তই নাকি নিয়ে উঠতে পারছেন না তিনি। ভাবার জন্য একদিন সময় চেয়ে নিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সুভাষ ভৌমিককে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। তবে সোমবার উৎপলবাবুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, “চার্চিল যে টাকা দেবে, সেটা আমরা সুভাষ ভৌমিককে দিতে পারব না। তাছাড়া আমাদের এখানে মাত্র কয়েক মাসের জন্য কোচিং করাতে পারবেন উনি। কিন্তু চার্চিলের টিডি হলে গোটা মরসুম কোচিং করাতে পারবেন। তাও একদিন ভাবার জন্য সময় চেয়ে নিয়েছি। দেখা যাক কী হয়!” যা শোনার পর মনে হওয়া স্বাভাবিক, সুভাষ চার্চিলের পথেই যাচ্ছেন।
আইএফএ সূত্রের খবর অবশ্য, সন্তোষ ট্রফির প্রাথমিক পর্বে শিশির ঘোষ একাই কাজ চালাবেন। চূড়ান্ত পর্বে বাংলা পৌঁছালে তখন চার্চিল থেকে কিছু দিনের ছুটি নিয়ে সুভাষ ভৌমিক বাংলার সঙ্গে যোগ দিতে পারেন। তবে সবটাই এখন পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।
|