সমাহিত করার সময়ে তাঁর মগজটা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই ১৯৬৩ সালের ২৫ নভেম্বর আর্লিংটন ন্যাশনাল সেমেট্রিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে সমাহিত করা হয় মগজ ছাড়াই। কিন্তু সেটা ছিল কোথায়?
প্রেসিডেন্টের ভাই রবার্ট কেনেডিই সম্ভবত সেটা সরিয়ে ফেলেছিলেন। এই দাবি করেছেন জেমস সোয়ানসন নামে এক লেখক।
জন এফ কেনেডি
|
রবার্ট কেনেডি
|
কেনেডির ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীর ঠিক আগে সোয়ানসন তাঁর লেখা বই ‘এন্ড এফ ডেজ: দি অ্যাসাসিনেশন অফ জন এফ কেনেডি’-তে এই তথ্য জানিয়েছেন। ১২ নভেম্বর প্রকাশিত হচ্ছে বইটি। সোয়ানসনের বক্তব্য, “হত্যাকাণ্ডের সব প্রমাণ ন্যাশনাল আর্কাইভে সংরক্ষণ করা হলেও একটা অসাধারণ, অদ্ভুত জিনিস সেই সংগ্রহে পাওয়া যাবে না। সেটা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট কেনেডির ব্রেন।” সোয়ানসনের লেখার এমন বেশ কিছু অংশ প্রকাশিত হয়েছে একটি মার্কিন দৈনিকে।
বেথেসডা নাভাল হাসপাতালে কেনেডির অটোপসির সময়ে মগজ রাখা হয়েছিল ঢাকা দেওয়া একটি স্টিলের পাত্রে। সোয়ানসনের দাবি, “সিক্রেট সার্ভিসের দফতরে ছিল সেই পাত্র। পরে সেটা অন্য তথ্যপ্রমাণের সঙ্গে রেখে দেওয়া হয় ন্যাশনাল আর্কাইভে। আর্কাইভে কেনেডির একনিষ্ঠ সেক্রেটারি ইভলিন লিঙ্কনের ঘরে একটি লকারে ওই পাত্র কিছু দিন রাখা ছিল। কিন্তু ১৯৬৬-র অক্টোবরে হঠাৎ এক দিন দেখা যায়, আরও কিছু প্রমাণের সঙ্গে সেই মগজও উধাও। তার পর থেকে আর কখনও সেটার খোঁজ মেলেনি।
তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল র্যামসে ক্লার্ক এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। আজও কেউ জানে না সেটা কোথায় জানিয়েছেন সোয়ানসন। এর পরেই তিনি বলেছেন, সেই তদন্তেই এমন ইঙ্গিত মিলেছিল, প্রেসিডেন্টের ভাই রবার্ট কেনেডি তাঁর এক সহযোগীর সঙ্গে মিলে ওই লকার সরিয়ে ফেলেছেন।
সোয়ানসনের গবেষণা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট। “কেনেডি হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রমাণ নষ্ট করতে রবার্ট তাঁর ভাইয়ের মগজ লোপাট করেননি। বরং জন এফ কেনেডির অসুস্থতা বা বা তাঁর চিকিৎসার রেকর্ড যাতে প্রকাশ্যে না আসে, তার জন্যই সম্ভবত মগজ সরিয়ে দেওয়ার কাজটি করেছিলেন রবার্ট জানিয়েছেন সোয়ানসন। |