মাত্র ৭০০ টাকা নিয়ে বচসা। তার জেরে প্রকাশ্য বাসস্ট্যান্ডে বন্ধুকে গুলি করে খুন করলেন এক যুবক। পণপিটুনিতে মারা গেলেন তিনিও।
রবিবার সকালে মালদহের নারায়ণপুর বিএসএফ ক্যাম্প লাগোয়া জলঙ্গা এলাকার এই ঘটনায় নিহতেরা হলেন বাবলু শেখ (২৫) ও সাহাবুব হোসেন (২৫)। জেলা এসপি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুরানো বকেয়া মেটানো নিয়ে দুই বন্ধুর বিবাদের জেরেই এই ঘটনা।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বাবলু লাগোয়া বলাটুলি এলাকার বাসিন্দা হলেও কয়েক বছর ধরে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে জলঙ্গা গ্রামে থাকছিলেন। তাঁর বাড়ির কাছেই সাহাবুবের বাড়ি। দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। বাবলু স্থানীয় একটি সিমেন্টের গুদামে শ্রমিকের কাজ করলেও সাহাবুব নির্দিষ্ট কোনও কাজ করতেন না। তবে, এলাকায় দাদাগিরি করতেন বলে অভিযোগ।
দেড় মাস আগে একটি পুরনো মোবাইল কেনার জন্য বাবলুর কাছ থেকে ৭০০ টাকা ধার নেন সাহাবুব। এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা ফেরতের কথা থাকলেও তা না মেটানোয় বাবলু সাহাবুবকে মাঝেমধ্যেই তাগাদা দিতেন। এ দিন সকালে বিএসএফ ক্যাম্পের পাশে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের জলঙ্গা মোড়ে চায়ের দোকানে বসে দু’জনে চা খাচ্ছিলেন। ওই সময় ফের টাকা ফেরত নিয়ে বচসা বাধে। অভিযোগ, আচমকাই পাইপগান বার করে গুলি চালান সাহাবুব। ঘটনাস্থলেই বাবলুর মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিজের গ্রামের রাস্তার দিকে দৌড়তে শুরু করেন সাহাবুব। ততক্ষণে বাবলুকে গুলি করার খবর চাউর হয়ে গিয়েছে। জলঙ্গা মোড়ে চলে আসেন বাসিন্দারা। তাঁদের মুখোমুখি পড়ে যান সাহাবুব। শুরু হয় মারধর। অভিযোগ, মারধরের পর ইটে মাথা রেখে একটি বড় পাথর দিয়ে সাহাবুবের মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে এলাকায় যান মালদহ থানার আইসি আশিস দেব। তার আগেই মৃত্যু হয় সাহাবুবের। পুলিশের দাবি, ঘটনার পরেই বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে গা ঢাকা দেন সাহাবুবের স্ত্রী দিলেরা বিবি ও বাবা লুৎফর শেখ। নিহত বাবলুর স্ত্রী আজিলা বিবি বলেন, “দুই ছেলেকে নিয়ে পথে বসা ছাড়া উপায় নেই।” |