আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের বাধায় ট্রেনে উঠতে না পারার পর টিকিটের টাকা ফেরৎ না পেয়ে টিকিট কাউন্টারে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে যাত্রীদের একাংশের বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় যাত্রীদের উপর রেল পুলিশ লাঠি চালায় বলেও অভিযোগ। যাত্রীদের দাবি, লাঠির আঘাতে আহত হন ৫ যাত্রী। তাঁদের রেলের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। রবিবার সকালে মালদহ স্টেশনে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ভাঙচুরের অভিযোগে ৩ যাত্রীকে গ্রেফতার করে। যাত্রীদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ রেল পুলিশ অস্বীকার করেছে।
মালদহ টাউন স্টেশনে আরপিএফ কমান্ডেন্ট রবিশঙ্কর তেওয়ারি বলেন, “লাঠি চালানোর অভিযোগ ঠিক নয়। যাত্রীদের একাংশ ভাঙচুর চালানোয় বিশৃঙ্খলা থামাতে তাঁদের হটিয়ে দেওয়া হয়।” ঘটনায় ক্ষুব্ধ রেলওয়ে ইউজার্স কনসালটেটিভ কমিটির সদস্য তথা ইংরেজবাজার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নরেন্দ্র নাথ তেওয়ারি বলেন, “ট্রেনের সব কামারাতেই যে আধাসামরিক বাহিনী রয়েছে তা রেলের আগাম ঘোষণা করা উচিত ছিল। এভাবে যাত্রীদের উপর লাঠি চালানো ঠিক নয়। রেলের ভুলেই এদিন মালদহ স্টেশনে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।” রেল ও যাত্রীদের সূত্রে জানা যায়, এদিন সকাল ৮টায় স্টেশনে সাপ্তাহিক গুয়াহাটি থেকে মুম্বইগামী কর্মভূমি এক্সপ্রেস এসে দাঁড়ায়। ট্রেনের ১৪টি কামরার সবকটিই সাধারণ শ্রেণির। মুম্বইগামী শ্রমিকরা ওই ট্রেনে যাতায়াত করেন। এদিনও ওই ট্রেন ধরার জন্য টিকিট কাটেন শতাধিক যাত্রী। কিন্তু ট্রেন স্টেশনে পৌঁছনোর পর যাত্রীদের আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা উঠতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। পরে স্টেশন ম্যানেজারকে ঘিরে শুরু হয় যাত্রীদের বিক্ষোভ। সেই সময় রেলের তরফে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে হলে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে স্বাভাবিক হয়।
যাত্রীদের অভিযোগ, টিকিটের দাম ৪৯৫ টাকা। রেলের তরফে বলা হয়েছিল, ১৫ টাকা কেটে বাকি টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু কাউন্টারে জানানো হয়, ৩০ টাকা কেটে বাকি টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এই নিয়েই বচসা শুরু হয় কর্মী ও যাত্রীদের মধ্যে। ক্ষুব্ধ হয়ে যাত্রীদের একাংশ স্টেশনের ৬ ও ৭ নম্বর কাউন্টারে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। মালদহ টাউন স্টেশন ম্যানেজার দিলীপ চৌহান বলেন, “আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা টিকিট কেটেই এই ট্রেনে উঠেছিলেন। মালদহে যাত্রীরা ট্রেনে উঠতে না পারায় তাঁদের বলা হয়েছিল, ১৫ টাকা করে কেটে বাকি টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তার পর কেন গণ্ডগোল হল জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।” |