দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিলেন হাবরা পুরসভার একমাত্র কংগ্রেস কাউন্সিলর শান্তা ভট্টাচার্য। রবিবার মধ্যমগ্রামে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে গিয়ে শান্তাদেবী ওই দলে যোগ দেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তৃণমূলের দাবি, শান্তাদেবীর সঙ্গে হাবরার প্রায় এক হাজার কংগ্রেস কর্মীও এ দিন তৃণমূলে যোগ দেন।
পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তাদেবী দলে যোগ দেওয়ায় ২৫ আসনের হাবরা পুরসভায় তৃণমূলের আসনসংখ্যা বেড়ে হল ১৬। শান্তাদেবী বলেন, “এলাকার কর্মীদের মতামত নিয়ে উন্নয়নের স্বার্থেই তৃণমূলে যোগ দিলাম।” তবে, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সমাদ্দার। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে উনি জয়লাভ করেছেন। এখন ব্যক্তিগত স্বার্থ ও লোভে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এতে আমাদের কিছু এসে যাবে না।” জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “কংগ্রেস থেকে যাঁরা তৃণমূলে আসছেন, তাঁদের সকলকে স্বাগত।”
এ দিন জ্যোতিপ্রিয়বাবু ফের জেলা সিপিএমের প্রস্তাবিত নবান্ন-ঘেরাও কর্মসূচিকে ঘিরে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ওই কর্মসূচিতে কোনও সিপিএম কর্মী গেলে দু’লক্ষ মানুষ সিপিএমের জেলা কার্যালয় ঘেরাও করবে।” তাঁর সংযোজন, “সিপিএমের কাজিপাড়ার (বারাসত) কার্যালয় এবং ওদের নেতাদের কাছে অনেক অস্ত্র মজুত করা আছে। পুলিশকে তা বলা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই অস্ত্র উদ্ধার শুরু করেছে।” এর পাল্টা হিসেবে সিপিএমের জেলা নেতা নেপালদেব ভট্টাচার্য বলেন, “নবান্ন প্রশাসনিক দফতর। প্রশাসনের কর্তারা সেখানে বসেন। এটা কোনও রাজনৈতিক দলের বা নেতার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এই কারণেই আগে মহাকরণ অভিযানও হয়েছে।” অবশ্য সিপিএম নেতাদের কাছে বা দলীয় কার্যালয়ে অস্ত্র থাকার অভিযোগকে আমল দেননি নেপালদেববাবু। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতাদের বাড়িতে অস্ত্র ঢুকিয়ে ওরা (তৃণমূল) তো তাঁদের গ্রেফতার করাচ্ছেই। এ আর নতুন কথা কী?” |