|
|
|
|
বিকল এসি, বিক্ষোভে ৬ ঘণ্টা আটকে দুরন্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি ও কলকাতা |
জেনারেটর খারাপ হয়ে এসি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন যাত্রীরা। যাত্রী অবরোধে রবিবার ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি স্টেশনে আটকে থাকল দিঘা-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেস।
রেল সূত্রে খবর, রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টে নাগাদ হাওড়াগামী দুরন্ত এক্সপ্রেস দিঘা থেকে ছাড়ে। ৪টে নাগাদ কাঁথি স্টেশনে পৌঁছনোর পরে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের বক্তব্য, ট্রেনের সমস্ত বাতানুকূল যন্ত্র থেমে গিয়েছে। ফলে কামরায় তাঁদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ট্রেন মেরামতির লোকজন এসে দেখেন, ওই ট্রেনটির দু’দুটি জেনারেটর ভ্যানই অকেজো হয়ে যাওয়ায় এই অবস্থা হয়েছে। এরপরেই যাত্রীরা দাবি তোলেন, সারালে হবে না, অবিলম্বে ওই ট্রেনের জন্য নতুন একটি জেনারেটর ভ্যান নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু ততক্ষণে রেলের লোকজন চেষ্টা করে একটি জেনারেটর সারিয়ে ফেলেছেন। ট্রেনের আলোর সঙ্গে ৫০ শতাংশ বাতানুকূল যন্ত্রও চালু হয়ে যায়। কিন্তু যাত্রীরা ওই অবস্থায় ফিরতে রাজি হননি। সন্ধ্যার পরও যাত্রী বিক্ষোভ চলায় রেল সাঁতরাগাছি থেকে আলাদা একটি ইঞ্জিন দিয়ে একটি জেনারেটর ভ্যান পাঠায়। রাতে সেটি পৌঁছনোর পরে ট্রেনটি আবার হাওড়ার দিকে যাত্রা শুরু করে। |
ট্রেন থেকে নেমে বিক্ষোভ যাত্রীদের। কাঁথিতে।—নিজস্ব চিত্র। |
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সৌমিত্র মজুমদার বলেন, “রাজধানী এক্সপ্রেসের মত দুরন্ত এক্সপ্রেসেও সামনে-পিছনে একটি করে দু’টো জেনারেটর ভ্যান থাকে। এদিন কী করে দু’টি এক সঙ্গে খারাপ হয়ে গেল, তা তদন্ত করে দেখা হবে। তবে একটি জেনারেটর চালু করে দেওয়ার পরেও যাত্রীরা কেন বিক্ষোভ দেখালেন, বুঝতে পারছি না।” তাঁর দাবি, “এই সময় কামরার মধ্যে যে তাপমাত্রা থাকার কথা, তা ওই একটি জেনারেটর দিয়ে করা সম্ভব ছিল। সেটা করেও দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও যাত্রীরা তা মানতে চাননি। ফলে দেরি হয় ট্রেনটির।”
যাত্রীদের বক্তব্য, এত টাকা ভাড়া দিয়েও কষ্টে যাওয়ার অর্থ নেই। মাঝ রাস্তায় ফের জেনারেটর বিকল হয়ে গেলে কী হবে? সন্ধ্যার পরও দুরন্ত আটকে থাকায় স্টেশনে কাঁথি পুরসভা থেকে পানীয় জলের গাড়ি পাঠানো হয়। খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। |
|
|
|
|
|