মাত্র তিনটে শটের ব্যবধান। আর তাতেই বিদেশের মাটিতে নিজের প্রথম খেতাব ফস্কে গেল অনির্বাণ লাহিড়ীর। তবে হাতে রানার্স-এর ট্রফি উঠলেও ম্যাকাও ওপেনে এ দিন কোর্স রেকর্ড স্পর্শ করে বেঙ্গালুরুর বাঙালিই হয়ে রইলেন নায়ক।
অন্য দিকে, চিনের আর এক প্রান্তে ইউরোপীয় চ্যালেঞ্জ ট্যুরের ফোশান ওপেনে শিব কপূর যুগ্ম দ্বিতীয় হলেন। পুরস্কারমূল্যে ২০,৬১৭ ইউরো জেতায় আগামী বছরের ইউরোপীয় ট্যুর কার্ড পাওয়ার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন শিব। কাকতালীয় হয়তো, অনির্বাণ যাঁর রেকর্ড স্পর্শ করলেন তিনিও ভারতীয়। ন’বছর আগে ম্যাকাও-এর এই কোর্সে নয়-আন্ডার ৬২ স্কোর করে রেকর্ড গড়েছিলেন অমনদীপ জোল। আজ নিজের পেশাদার জীবনের সব থেকে কম স্কোরটা করে সেই রেকর্ড ছুঁয়েই দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর ৮৮ হাজার ডলারের চেক পকেটে পুরলেন অনির্বাণ। এশীয় ট্যুরের এই টুর্নামেন্টে শেষটা চোখ ধাঁধানো করতে পেরে উচ্ছ্বাসিত প্লে-অফ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “আমি দারুণ খুশি। টুর্নামেন্টটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভাল খেললাম। গতকাল ব্যাক নাইনে সমস্যায় না পড়লে আরও ভাল হত।” একাগ্রতা বাড়াতে নিয়মিত ধ্যান করা ছেলে জানিয়েছেন, শেষ রাউন্ডে যে ভাবে স্নায়ু শান্ত রেখে খেলেছেন, তাতে বাড়তি গর্বিত। যাঁর এশীয় (১৫) এবং বিশ্ব র্যাঙ্কিং (১৯৩) এ বার উন্নতি হতে বাধ্য। |
চ্যাম্পিয়ন, অস্ট্রেলীয় স্কট হেন্ড-এর থেকে চার শটে পিছিয়ে দিনটা শুরু করেছিলেন অনির্বাণ। প্রথম হোল বার্ডি করার পরে দ্বিতীয় হোল-এ ঈগল। এর পরে আরও সাতটা বার্ডি। আট নম্বর হোল বোগি না হলে হারের ব্যবধান কমত। শেষ করলেন তেরো-আন্ডার ২৭১ মোট স্কোরে। গতকাল অনির্বাণের সঙ্গে যুগ্ম বারো স্থানে থাকা কলকাতার তারকা অর্জুন অটওয়াল আজ ৭০ স্কোর-সহ শেষ করলেন তেরোয়। বারোয় থাকা কলকাতার আর এক গল্ফার রাহিল গাঙ্গজির থেকে এক ধাপ পিছনে। এশীয় ট্যুরের প্রাক্তন এক নম্বর অর্জুনের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতায় মুগ্ধ অনির্বাণ বলেছেন, “ছোট থেকেই অর্জুন আমার আদর্শ। প্রেরণার জন্য বারবার তাকিয়েছি ওর দিকে। একসঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতাটা অসাধারণ হল।” বিদেশে খেতাব ফসকানোর একটা আফসোস থাকছেই। অনির্বাণ বলেছেন, “জানি না চেষ্টায় কোথাও ত্রুটি থেকে যাচ্ছে কি না। তবে গত ক’দিন যে ভাবে খেলেছি, আমি খুশি। গত ক’সপ্তাহে আমার খেলার দারুণ উন্নতি হয়েছে। সামনে পরপর টুর্নামেন্ট। নিজের সেরাটা বের করে আনার এটাই আদর্শ সময়।” পরের সপ্তাহেই কিআইএমবি ক্ল্যাসিক। তার পর হিরো ইন্ডিয়ান ওপেন এবং হান্ডা ওয়ার্ন্ড কাপ। অনির্বাণের কথায়, “চাইব এই ফর্মটা ধরে রেখে আরও ভাল খেলতে।” |