হাতির দলের গতিবিধি আঁচ করতে তৈরি করা বন দফতরের আউটপোস্ট ভেঙে দিল হাতিরাই! শুক্রবার রাতে কোটশিলা (ঝালদা ২ ব্লক) রেঞ্জের জাবর এলাকার ঘটনা। শুধু তাই নয়, কয়েক দিন ধরে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ানো হাতির দলটি জাবর গ্রাম লাগোয়া সিমনি গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড-ডে মিলের রান্নাঘরও ভেঙে দিয়েছে। কোটশিলা ও ঝালদা রেঞ্জ এলাকায় ধান ও সব্জির ব্যাপক ক্ষতি করেছে ঝাড়খণ্ড থেকে ঢুকে পড়া হাতির দল।
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পুজোর ঠিক আগেই ১১টি হাতির পাল ঝালদা রেঞ্জের কলমা হয়ে কোটশিলায় ঢুকে পড়ে। এলাকায় আগে থেকেই তিনটি হাতি পৃথক ভাবে হামলা চালাচ্ছিল। আরও ১১টি যোগ দেওয়ায় আতঙ্কে ঘুম নেই স্থানীয় বাসিন্দাদের। জাবর গ্রামের শ্রীকান্ত হেমব্রম বলেন, “এই দলটি গত দু’তিন দিন ধরে এলাকার জাবর, সিমনি, মারামু, তাহেরবেড়া, বাঁশগড় গ্রামে রাতে হামলা করছে। কোথাও স্কুলের রান্নাঘর ভাঙছে, কোথাও ঘরবাড়ি। আর চোখের সামনে জমির ধান, সব্জি সব নষ্ট করে দিচ্ছে। আমাদের বিরট ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।” কোটশিলার রেঞ্জার ললিত মাহাতো জানান, হাতির দলটি জাবর গ্রামে দফতরের আউটপোস্টও ভেঙে দিয়েছে। অন্য দিকে, লক্ষ্মীপুজোর রাতে সুবর্ণরেখা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে ২২টি হাতির একটি নতুন দল ঢুকে পড়েছে ঝালদা রেঞ্জের কর্মাডি এলাকায়। ঝালদার রেঞ্জার সমীর বসু জানান, ওই দলটিতে দুটি দাঁতাল রয়েছে। আছে গোটা ছয়েক বাচ্চাও। ঢোকার পর থেকেই দলটি কর্মাডি, হেঁসলা ও লাগোয়া গ্রামগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি শুরু করেছে। স্থানীয় পুস্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দুর্গাচরণ মাহাতো বলেন, “ধান যতটুকু হয়েছিল, নষ্ট করে দিচ্ছে। বৃষ্টির মধ্যে যাঁরা অনেক কষ্টে লাউ, কুমড়ো, শসা-সহ নানা সব্জি বাঁচাতে পেরেছেন, তাঁদের সব্জিও হাতির দল নষ্ট করে দিচ্ছে। আমরা বন দফতরকে জানিয়েছি।” সমীরবাবুর কথায়, “সুবর্ণরেখার ডাংডুং ঘাট হয়ে দলটি এ-পারে ঢুকেছে। হুলাপার্টি ওদের তাড়িয়ে ও-পারে পাঠাতে চেষ্টা করছে। |