|
|
|
|
পথ দুর্ঘটনায় কর্নাটকে মৃত্যু বাঙালি তরুণীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বেঙ্গালুরুর কলেজ থেকে সপ্তাহান্তের ছুটিতে মহীশূরে গিয়েছিলেন চার তরুণ-তরুণী। রবিবার বিকেলে ফেরার পথে জাতীয় সড়কে ঘটল দুর্ঘটনা। তাতে কলকাতার এক তরুণী মারা গিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁর বাকি তিন সঙ্গী আহত হলেও এখন বিপন্মুক্ত বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
বেঙ্গালুরু থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে মান্ড্য জেলার মাড্ডুর এলাকায় ঘটে দুর্ঘটনাটি। কর্নাটক মিল্ক ফেডারেশনের দফতরের সামনে দুধ সরবরাহকারী একটি ট্রাকে ধাক্কা মারে কলেজ পড়ুয়াদের গাড়িটি। কর্নাটকের ট্রাফিক পুলিশের মাড্ডুর থানার ওসি প্রভাকরণ জানান, মৃতার নাম দেবমালা সেনগুপ্ত (২০)। এমএস রামাইয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি-তে তিনি বায়োটেকনলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। দেবমালার মা-বাবা ও আত্মীয়েরা রবিবারই বেঙ্গালুরুতে পৌঁছেছেন।
কী ভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? পুলিশ ও দেবমালার সঙ্গীদের বয়ান পুরোপুরি এক নয়। ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে প্রভাকরণ বলেন, “একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে দেবমালাদের গাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকা দুধের ক্যান বোঝাই একটি ট্রাকে ধাক্কা মারে। দেবমালা চালকের পাশের সিটে বসেছিলেন। গাড়িটাও ভেঙেচুরে গিয়েছে।” পুলিশ জানায়, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন দেবমালাদের এক বন্ধু সুরজ কৃষ্ণ। সুরজেরও মাথার পিছনে আটটি স্টিচ হয়েছে। তবে এ দিন বিকেলে হাসপাতাল থেকে তিনি টেলিফোনে স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলেন। সুরজের কথায়, “দুধের ট্রাকটার একটা দরজা বেমক্কা খোলা ছিল। তাতে ধাক্কা লেগেই আমি বেসামাল হয়ে পড়ি। ধাক্কা লাগার পরে কী হয়েছিল, এখন মনে নেই।”
পুলিশ জানায়, দেবমালা ও তাঁর কলেজের সহপাঠী রূপা পাণ্ডে ছাড়া বাকি দু’জন অন্য একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র। আর এক জন তরুণের নাম সুমিত সিংহ। সুমিত বলছিলেন, “ভাবতে পারছি না, দেবমালা নেই!” চার জনের মধ্যে একমাত্র সুমিতেরই কার্যত কোনও আঘাত লাগেনি। তিনি জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুতে পড়তে যাওয়ার পর থেকেই দেবমালা তাঁদের পরিচিত। শনিবার সকালে তাঁরা দল বেঁধে মহীশূরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। দেবমালার এক আত্মীয়ের সঙ্গে এ দিন কথা বলা হলে, তিনি এই দুর্ঘটনার বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। |
|
|
|
|
|