জঙ্গলের পথে গাড়ির ভিড়
সব্যসাচী ঘোষ • মালবাজার |
জাতীয় সড়ক যেন ‘পাকির্ং জোন’। গরুমারা অভয়ারণ্যে জঙ্গল সাফারির জন্য ব্যবহৃত বেসরকারি গাড়ি অবাধে দাঁড়িয়ে থাকে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে। লাটাগুড়ির নেওড়া মোড়ে দিনভর সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে হুডখোলা জিপ গাড়িগুলি। সারি দিয়ে দাঁড়ানো অন্তত ৬০টি গাড়ির পাশাপাশি গরুমারায় পর্যটকদের নিয়ে আসা ছোট-বড় গাড়িগুলিও থাকে সেখানে। যার জেরে জঙ্গলপথে চলাচলের যেমন সমস্যা হয়, তেমনিই ব্যস্ত সময়ে তৈরি হয় যানজটও। যদিও বন দফতরের থেকে জাতীয় সড়কের পাশের একটি এলাকায় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হলেও, জাতীয় সড়কের উপরেই গাড়ি রাখা লাটাগুড়িতে দস্তুর হয়ে উঠেছে বলে পরিবেশ প্রেমীদের অভিযোগ। |
বন দফতরের থেকে জাতীয় সড়কের পাশের একটি এলাকায় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হলেও
জাতীয় সড়কের উপরেই গাড়ি রাখা (বাঁ দিকে) দস্তুর হয়ে উঠেছে। লাটাগুড়িতে দীপঙ্কর ঘটকের ছবি। |
গরুমারা জঙ্গল ঘুরতে প্রতিদিনই দেশ বিদেশের বহু পর্যটকই আসেন লাটাগুড়িতে। লাটাগুড়ির নেওড়া মোড় এলাকায় থাকা বন দফতরের প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে জাতীয় উদ্যানে প্রবেশের টিকিট দেওয়া হয়। আর তার পরই অনুমতি মেলে হুডখোলা জিপে জঙ্গল সাফারির। প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সামনেই সার দিয়ে হুডখোলা গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে বলে অভিযোগ। এ অব্যবস্থা পর্যটকদের কাছে লাটাগুড়ি এলাকার ভাবমূর্তিকেই নষ্ট করছে বলে মনে করছেন লাটাগুড়ি রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব। তাঁর কথায়, “অবৈধ পার্কিঙের জেরে যে কোনও দিন বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
জঙ্গল-সাফারিতে ব্যবহৃত গাড়ি চালকদের সংগঠনের সভাপতি বাপি চন্দ বলেন, “বন দফতর গাড়ি রাখার যে জাঁয়গা বেছেছেন সেটি যথেষ্ট দূরে। সেখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে পর্যটকদের জন্যে অপেক্ষা করা অসুবিধাজনক। সে কারণেই বাধ্য হয়ে জাতীয় সড়কের একপাশে গাড়ি রাখছি।” বন্যপ্রানী ২ বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক গাড়ি চালকদের যুক্তি মানতে রাজি নন। তিনি বলেন, “গাড়ি চালকদের সুবিধার জন্যেই আমরা পার্কিং বানিয়েছিলাম। তারও গাড়ি রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা অনভিপ্রেত।” মালবাজারের মহকুমাশাসক জ্যোর্তিময় তাঁতি বলেন, “সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হবে।” মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অরিন্দম সরকারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
|