চারটি ব্লকের ভরসা একটিই অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্র। ফলে গ্রামে আগুন লাগলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দমকলের ঘণ্টি শোনার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় সবকিছু। আবার রাস্তার যানজট, রেলগেট টপকে দমকল যদি বা আসে তাও একেবারে শেষ সময়ে। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই মানকর, গলসি, আউশগ্রাম ইত্যাদি এলাকার বাসিন্দারা আরও একটি অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্রের দাবি তুলছেন। রাজ্যের দমকল মন্ত্রী জাভেদ খানকে এই আর্জি জানিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছেন তাঁরা।
গলসি ১ ও ২ ব্লক ও আউশগ্রাম ১ ও ২ ব্লকের বেশ কিছু এলাকার অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্র বলতে পানাগড়। এছাড়া মানকর, বুদবুদ, গুসকরা, ভেদিয়া, মোরবাঁধ, অভিরামপুরের মতো জনবহুল এলাকা বা আশপাশের ছোটবড় গ্রাম এদেরও ভরসা পানাগড়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পানাগড় থেকে আসতে গিয়ে বেশিরভাগ সময়েই যানজটে আটকে পড়ে দমকলের গাড়ি। ফলে গাড়ি পৌঁছনোর আগেই ভস্মীভূত হয়ে যায় সবকিছু। মানকরের বাসিন্দা সুকুমার পাল জানান, পানাগড় থেকে এ সব অঞ্চলে আসতে দমকলের গাড়িকে পানাগড়ের জিটি রোডের উপর দিয়ে আসতে হয়। ফলে বেশিরভাগ সময়েই যানজটে আটকে গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। আবার মানকর রেলগেট পার হয়ে আসতে গেলেও আটকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাঁর দাবি, মানকর যেহেতু এসব অঞ্চলের মাঝে অবস্থিত ফলে এখানে যদি একটা কেন্দ্র গড়া হয়, তাহলে ভেদিয়া বা গুসকরার মতো জায়গায় পৌঁছনো সহজ হয়ে যাবে। তাঁর দাবি, “মানকরে অনেক বড় বড় জলাশয় আছে। ফলে দমকলের কাজে জলের অভাবও হবে না।” মানকরের কংগ্রেস নেতা জয়গোপাল দে বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি এখানে একটি অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্র হোক। তাহলে বহু মানুষের উপকার হবে।”
পানাগড় অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রের এক দিকে কাঁকসার বিস্তীর্ণ এলাকা। অন্যদিকে আউশগ্রাম ব্লকের ভেদিয়া। যেখানে পৌঁছতে দমকলের প্রায় ঘন্টা দুয়েক সময় লেগে যায়। মানকরে নতুন কেন্দ্র হলে সেখানে পৌঁছনো অনেকটাই সহজ হবে। দমকল সূত্রেও জানা গিয়েছে, গুসকরায় কোনও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটলে কখনও বর্ধমান থেকে, কখনও ভাতার আবার কখনও পানাগড়ের কেন্দ্র থেকে দমকলের গাড়ি যায়। গুসকরায় একটি কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা থাকলেও তা এখনও হয়নি। এই অবস্থায় মানকরে যদি একটি কেন্দ্র গড়ে তোলা হয় তাহলে এই বিস্তীর্ণ এলাকার বহু মানুষ উপকৃত হবেন। |