প্রস্তাবিত আতশবাজির বাজার পুলিশ কমিশনারেটের ময়দান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত মিলল। প্রস্তাবিত ময়দানের বদলে পানিট্যাঙ্কি মোড়ে রামকৃষ্ণ ব্যায়াম শিক্ষা সঙ্ঘের মাঠে এই বাজার বসবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। বৈঠকে ব্যবসায়ীদের আপত্তি নিয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রী কয়েকটি সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তাতেই কমিশনারের সিদ্ধান্ত বদল বলে মনে করা হচ্ছে। গৌতমবাবু বলেন, “ব্যবসায়ীরা কয়েকটি সমস্যার কথা আমাকে জানিয়েছে। সমস্যার বাস্তবতা বিচার করেই কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে জায়গা বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে কারওই আপত্তি থাকবে না বলে আশা করছি।” কমিশনারও জায়গা বদলের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “মন্ত্রী কয়েকটি সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। সেগুলি বিচার করেই পরিবর্তিত জায়গায় বাজি বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে।” শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেই স্টলগুলি তৈরি করে দেওয়া হগবে। নাম মাত্র মূল্য ভাড়া দিয়ে সেগুলি ব্যবহার করার অনুমতি মিলবে বলেও জানা গিয়েছে।
এদিন সকালে সমস্যা নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাড়িতে দেখা করতে যান শহরের বিভিন্ন এলাকার আতশবাজি বিক্রেতাদের প্রতিনিধিরা। বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অভিজিত ঘোষ মন্ত্রীর উদ্যোগে খুশি। তিনি বলেন, “মন্ত্রীকে আমরা আর্জি জানিয়েছিলাম। উনি বিষয়টি নিয়ে ব্যস্ততার মাঝেও উদ্যোগ নিয়েছেন, তাতে আমরা খুশি।” এদিন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাদের শহরের বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের দোকান রয়েছে, তাঁদের যাতে পুলিশের নির্দিষ্ট করা জায়গায় না যেতে হয় তার জন্য সুপারিশ করা হয়। পুলিশ নির্দিষ্ট জায়গায় শুধুমাত্র ফুটপাতে বাজি বিক্রি করা ব্যবসায়ীরা যাতে যায় সে ব্যপারে হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে নিজেদের দোকান থেকে বাজি বিক্রি করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য বাড়তি উদ্যোগ নিতেও রাজি তাঁরা বলে জানানো হয়েছে ব্যবসায়ীেদের পক্ষ থেকে। যেমন মহাবীরস্থান, হকার্স কর্ণার ও বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা নিজেদের দোকানে বালির বালতি সহ সেফটি গ্যাস রাখবেন বলে জানান। এছাড়াও দমকলের একটি করে গাড়ি কয়েকদিনের জন্য প্রতিটি বাজারে রাখার ব্যপারে প্রতিশ্রুতি দেন। সেজন্য দমকলকে যে বাড়তি খরচ বহন করতে হবে তা তারাই নিজেরা বহন করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। |