মহাষ্টমীর দিন এক মহিলাকে নির্যাতনের পরে খুনের মামলায় দ্রুত তদন্ত সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি শশীকান্ত পূজারী। পুলিশ সূত্রের খবর, গঙ্গারামপুর থানা এলাকার ওই ঘটনার কথা জানতে পেরে আইজি বিশদে খোঁজখবর নিয়েছেন। তাঁর দফতর থেকে নিয়মিত তদন্তের গতিপ্রকৃতির দিকেও নজর রাখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে। শনিবার আইজি বলেন, “সবই আমার নজরে রয়েছে। পুলিশ সুপার নিজেই বিষয়টি দেখছেন। দ্রুত তদন্ত সম্পূর্ণ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে বলা হয়েছে।” পাশাপাশি, ওই মামলার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মতামত যাতে দ্রুত মেলে সেই ব্যাপারে পুলিশ উদ্যোগী হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের কালদিঘি এলাকায় নবমীর দিন সকালে একটি ক্লাবের দুর্গাপুজোর মন্ডপ থেকে ওই এলাকার ২৬ বছরের এক মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। মহিলাকে গণধর্ষণের পর তাকে খুন করা হয় বলে নিহতের পরিবারের তরফে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নিহতের বুকে, পেটে ও দু’হাতে একাধিক ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। মুখে ও ঘাড়েও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রেই জানা গিয়েছে। মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। নিহতের দেহরসের নমুনা ফরেনসিক পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতাল থেকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রেই জানা গিয়েছে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণী জেঠা গঙ্গারামপুর থানায় যান লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তাঁর দাবি, “ঘটনাস্থলে দেহ পড়ে থাকার সময়ে গিয়ে ভাইঝির সারা দেহে কামড়ের দাগ দেখেছি। তাঁকে গণধর্ষণ করে গলা টিপে খুন করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করেছি। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে পুলিশ নিশ্চয়ই ঘটনাস্থল থেকে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে। আমরা চাই পুলিশ দ্রুত তদন্ত সম্পূর্ণ করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক।”
মৃতার প্রতিবেশীরাও অসহায় ও গরিব মহিলার উপর নির্যাতন ও খুনে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। পাশাপাশি, প্রতিবেশীদের অনেকেরই আশা, পুলিশি তদন্তে সব কিছুই স্পষ্ট হয়ে যাবে। ওই এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সভাপতি তথা কালদিঘির ওই ক্লাবের সম্পাদক সন্তোষ দাস বলেন, “পুলিশি তদন্ত এগোচ্ছে। আমরাও খোঁজখবর করছি। পুলিশ নিশ্চয়ই দক্ষ ভাবে তদন্ত করে চার্জশিট দিয়ে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে।” |