স্বাস্থ্য দফতরের পাঠানো স্যালাইনের বোতলে ছত্রাক পাওয়ার অভিযোগ উঠল। শনিবার উত্তর দমদম পুরসভা সূত্রের খবর, আন্ত্রিক রোগীদের চিকিৎসার জন্য ওই স্যালাইন পাঠানো হয়েছিল। পুরসভা পরিচালিত হাসপাতালে আক্রান্তরা ভর্তি রয়েছেন। তাঁরা ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আক্রান্তদের স্যালাইন দেওয়ার সময় এই ঘটনাটি নজরে আসে। তার পরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
পুজোর ষষ্ঠীর দিন থেকে উত্তর দমদম পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে জলবাহিত রোগ ছড়িয়েছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও অব্যাহত। বাম-শাসিত পুরসভার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। পাশাপাশি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১১ অক্টোবর থেকে স্বাস্থ্য দফতর ওষুধ ও স্যালাইন পাঠাতে শুরু করেছিল পুরসভার হাসপাতালগুলিতে। এ দিন স্বাস্থ্য দফতরের পাঠানো তিনটি স্যালাইন বোতলে ছত্রাক পাওয়া যায় বলে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ।
এর পর সপ্তমীর দিনই মেডিক্যাল ক্যাম্প বসে। অষ্টমী থেকে প্রতিদিন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ওই এলাকায় স্বাস্থ্য দফতরের শিবিরে যান এবং আক্রান্তদের খোঁজ নেন। দশমীর পর পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। শনিবার আরও ১৫ জন আক্রান্ত হন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। তবে এক কিশোরী ছাড়া কাউকেই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়নি।
উত্তর ২৪ পরগনার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিমলকুমার পাল এই প্রসঙ্গে শনিবার বলেন, “হাসপাতালে এক সঙ্গে অনেক স্যালাইন বোতল আনা হয়। তার মধ্যে দু-একটা বোতল খারাপ থাকতে পারে। তবে রোগীদের সেই খারাপ স্যালাইন দেওয়া হয়নি।” পুরসভার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, স্বাস্থ্য দফতর বিষয়টি লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করছে। তবে এ নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। |