পুকুরের জল ব্যবহার করে বীরভূমের নানুর ও বোলপুরের দু’টি গ্রামে ২৬ জন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই বোলপুরের সহ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত এলাকাগুলিতে চিকিত্সক-সহ মহকুমা স্বাস্থ্য বিভাগের দুই প্রতিনিধিদল পৌঁছেছে। প্রয়োজনীয় প্রতিষেধক দেওয়া-সহ আক্রান্ত এলাকার পুকুর ও অন্য জলাশয়গুলি পরিশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে নানুর থানার কীর্ণাহার মালেপাড়ায় পেট খারাপের নানা উপসর্গ নিয়ে আক্রান্তেরা প্রথমে গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ২০ জন ডায়েরিয়ার উপসর্গ নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। জনা পঁয়ত্রিশেক স্থানীয় বাসিন্দা প্রাথমিক চিকিত্সার পরে বাড়ি ফিরেছেন। অন্য দিকে, শনিবার সকাল থেকে ডায়েরিয়ার উপসর্গ নিয়ে বোলপুর থানার বাহিরি গ্রামের পশ্চিম পাড়ার ৬ জন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের অনুমান, পুকুর ও জলাশয়ের দূষিত জল ব্যবহার করার জন্যই ওই দুই এলাকায় বাসিন্দারা ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।বোলপুর মহকুমার সহ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়ন্ত সুকুল বলেন, “ডায়েরিয়া আক্রান্ত দুই এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধিদল তদন্তের জন্য গিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। পুকুর জলাশ্রয়গুলি পরিষ্কার করা হয়েছে। পরিশ্রুত জল ব্যবহারের জন্য এলাকায় জনসচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে।” তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কীর্ণাহার ও বোলপুরের দু’টি এলাকা মিলিয়ে মোট ২৬ জনের চিকিত্সা চলছে। প্রয়োজনীয় চিকিত্সা এবং যথাযথ স্বাস্থ্য পরিষেবা যাতে মেলে, তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
|
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্কে কর্মীর অভাবে রক্তের ব্যবহার ঠিকমত করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগ তুলে ব্লাড ব্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত মৃদুময় দাসের কাছে অভিযোগ জানান পশ্চিমবঙ্গ ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের শিলিগুড়ি ইউনিটের সদস্যরা। শনিবার সকালে ফোরামের একটি দল গিয়ে মৃধুময়বাবুকে বিষয়টি নিয়ে তৎপরতা দেখানোর জন্য অনুরোধ জানান। মৃদুময়বাবু সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া আর্জি জানাবেন। তিনি বলেন, “সমস্যা রয়েছে। তবে তা পূরণ করার আশ্বাসও এসেছে। তবে যতক্ষণ না হচ্ছে এইভাবেই কাজ চালাতে হবে। অন্যদিকে ব্লাড ডোনার্স ফোরামের শিলিগুড়ি ইউনিটের সম্পাদক সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বছরখানেক আগেও ১৭ জন কর্মী ছিলেন। অনেকে বদলি হয়ে চলে যাওয়ার পর এখন রয়েছেন মাত্র ৬ জন। দ্রুত সমস্যা না মিটলে গভীর সঙ্কটের সৃষ্টি হবে।” |