চোট-আঘাত সমস্যা, অসুস্থতা, অফিস ফুটবল সব মিলিয়ে জেরবার ইউনাইটেড স্পোর্টস। তার প্রভাব পড়ছে আই লিগেও। শনিবার তাই শিলংয়ে লাজং এফসি-র সঙ্গে ১-১ ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল এলকো সাতোরির দলকে।
ইউনাইটেডের খেলার মধ্যে এ দিন লড়াই করার যে চেনা ছন্দ, সেটাই চোখে পড়ল না। চোট পেয়ে দল থেকে ছিটকে যাওয়া লালকমলের অভাবে মাঝমাঠ ছিল অগোছালো। যার ফলে বড় বেশি ছন্নছাড়া দেখায় ইউনাইটেডকে। চোটের কারণে পাওয়া যায়নি তপন মাইতিকেও। অফিস ফুটবলের জন্য রফিক দলের সঙ্গে যেতে পারেননি। বাবার অসুস্থতার কারণে বেশ কয়েক দিন অনুশীলনই করতে পারেননি দীপক মণ্ডল-ও। এ দিন সরাসরি ম্যাচ খেলতে নেমে পড়েছিলেন তিনি। সব মিলিয়েই বোধহয় লাজংয়ের বিরুদ্ধে র্যান্টিরা জ্বলে উঠতে পারলেন না। ম্যাচের পর এলকোও স্বীকার করে নেন, “আমার দল আজ ভাল খেলতে পারেনি। তবে অনেক সমস্যার মধ্যেও অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরছি, এটাই হয়তো পরের ম্যাচে দলকে উজ্জীবিত করবে।”
ম্যাচের শুরু থেকেই ইউনাইটেডের অগোছালো ফুটবলের সুযোগ নিয়ে খেলার রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় লাজং। এর মধ্যেই অবশ্য বিরতির শুরুতে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ইউনাইটেডের এরিক। কিন্তু বেশিক্ষণ সেই গোল ধরে রাখতে পারেননি দীপক-বেলোরা। লাজংয়ের হয়ে সমতা ফেরান গ্লেন। এর পর পুরো ম্যাচেই পাহাড়ি ফুটবলারদের আধিপত্য। তবে ইনজুরি টাইমে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল ইউনাইটেডের সামনে। কিন্তু নিজেদের বোঝাপড়ার অভাবে সে সুযোগও হাতছাড়া হয়।
এ দিকে পুণেতে চার্চিলকে ১-০ গোলে হারালেন আরাতা ইজুমিরা। এই ম্যাচ দেখতে এ দিন গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন সুভাষ ভৌমিক। দলের খারাপ পারফরম্যান্সের পর সুখবিন্দর সিংহকে টিডির পদ থেকে সরিয়ে এই মুহূর্তে সুভাষের দ্বারস্থ হয়েছে চার্চিল। গত বারের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন দল এ বার কোন অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তা দেখে নিতে মাঠে গেলেও, এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি নিউ আলিপুরের বাসিন্দা। শুধু বললেন, “আমি দলের হাল দেখার জন্য মাঠে গেছিলাম। যা দেখার দেখে নিয়েছি। এই নিয়ে আর কোনও কথা বলব না।” |