বাজির বাজার এ বার উত্তরেও
ক্ষিণের পরে এ বার উত্তর। কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে শহরে এই বছর শুরু হচ্ছে আরও একটি বাজি বাজার। উত্তর কলকাতার টালা সার্কাস ময়দানের এই বাজারে যোগ দিচ্ছেন নর্থ ও ইস্ট সাবার্বান ডিভিশনের মোট ১৬টি থানা এলাকার নথিভূক্ত বাজি ব্যবসায়ীরা। ‘নর্থ ডিভিশন বাজি বাজার’-এর ব্যানারে শুরু হতে চলা এই বাজারে প্রায় চল্লিশটি স্টল থাকবে বলে জানাচ্ছেন নর্থ ডিভিশন বাজি বাজারের প্রেসিডেন্ট সঞ্জয়কুমার দত্ত। নর্থ ডিভিশনের ৯টি থানা শ্যামপুকুর, জোড়াবাগান, বড়তলা, আমহার্স্ট স্ট্রিট, কাশীপুর, সিঁথি, চিৎপুর, টালা, গিরিশ পার্ক এবং ইস্ট সাবার্বান ডিভিশনের এন্টালি, মানিকতলা, উল্টোডাঙা, বেলেঘাটা, ফুলবাগান, নারকেলডাঙা, বেনিয়াপুকুর থানার অন্তর্গত নথিভূক্ত ব্যবসায়ীরা থাকবেন এ বাজারে।
জন সুরক্ষার স্বার্থে ১৯৯৫ সালে কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে বাজি ব্যবসায়ীদের সংগঠিত করে প্রথম শুরু হয় কলকাতার বাজি বাজার। ৯৮টি স্টল নিয়ে শুরু হওয়া সেই বাজিবাজার রবীন্দ্র সদনের সামনে থেকে পরে পার্ক স্ট্রিটে সরে আসে। বর্তমানে শহীদ মিনারের সামনে গত আট বছর ধরে বসছে এই বাজার। গত বছর থেকে আরও দু’টি সংগঠিত বাজি বাজার শুরু হয়েছে বেহালা ও যাদবপুর এলাকায়।
কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বছর শুরু হতে চলা চতুর্থ সংগঠিত বাজি বাজারটি উত্তর কলকাতার প্রথম সংগঠিত বাজার। ২৮ তারিখ থেকে শুরু হয়ে ৩ তারিখ পর্যন্ত বসবে এই বাজার।
কলকাতা পুলিশের ডিসি (রিজার্ভ ফোর্স) অশোক বিশ্বাস বলেন, “উত্তর কলকাতার যত্রতত্র বাজি বিক্রি বন্ধ করে সংগঠিত বাজার তৈরির জন্য এই পদক্ষেপ। উৎসবের দিনগুলিতে জন সুরক্ষার কথা ভেবে কলকাতা পুলিশের এই উদ্যোগ। পুলিশের পক্ষ থেকে নথিভূক্ত ব্যবসায়ীদের সংগঠিত হতে আহ্বান করা হয়েছে। বাকি প্রক্রিয়া চলছে।” তিনি আরও জানান, শর্তানুসারে নথিভূক্ত ব্যবসায়ীরা বাজি বাজার চলাকালীন নথিভূক্ত ব্যবসায়ীরা নিজেদের এলাকায় বাজি বিক্রি করতে পারবেন না। বাজি কেবলমাত্র ওই বাজারেই বিক্রি করা যাবে।
যদিও বড়বাজার এলাকার ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, সুরক্ষার কথা ভেবে পুলিশের এই উদ্যোগ সে ভাবে সফল হয় না। প্রতি বছরই উৎসবের দিনগুলিতে ব্রেবোর্ন রোড এলাকা জুড়ে হকারেরা বাজির অবৈধ ব্যবসা চালান। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হন বাজি বাজারের ব্যবসায়ীরা। এ প্রসঙ্গে ডিসি (রিজার্ভ ফোর্স) বলেন, “ওই এলাকায় বাজি হকারদের দৌরাত্ম্য রয়েছে মানছি। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতি বছর তল্লাশিও চালানো হয়। তাতে বিশেষ লাভ হয় না। ব্যবসায়ীদের একাংশের সহযোগিতা থাকায় বাজি হকারদের ওই বাড়বাড়ন্ত।”
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.