‘নাসার বাঁদর’।
ব্রাজিল বিশ্বকাপের টিকিট কাটা হয়ে গিয়েছে। ইংল্যান্ড ফুটবলে এখন স্বস্তির ছায়া। কিন্তু তার মধ্যেও কোচ রয় হজসনের এই মন্তব্য ঘিরে ঝড় উঠেছে ব্রিটিশ ফুটবল মহলে। এমনকী বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার জন্য ক্ষমাও চাইতে হল ইংল্যান্ড কোচকে।
ঘটনাটা কী? মঙ্গলবার রাতে পোল্যান্ডের সঙ্গে যোগ্যতা অর্জন ম্যাচেই বিতর্কের সৃষ্টি। প্রথমার্ধের শেষে ড্রেসিংরুমে টিম মিটিংয়ে দলের তরুণ তারকা আন্দ্রোস টাউনসেন্ডকে ‘নাসার রকেটে যাওয়া বাদর’ বলে ঠাট্টা করেন হজসন। ব্রিটিশ প্রচারমাধ্যম মতে দলের ডিফেন্ডার ক্রিস স্মলিংকে কোচ বোঝাতে চেয়েছিলেন যে বলটা টাউনসেন্ডকে আরও বেশি পাস দেওয়া হোক। কারণ টাউনসেন্ডের গতি পোল্যান্ডের রক্ষণকে নাজেহাল করার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু এই ছক বোঝাতে গিয়ে হজসন ঠাট্টা করে নাসার রকেটে চড়ে যাওয়া বাদরের কথা টেনে আনেন। ম্যাচ শেষে হজসনের ঠাট্টার রেশ ছড়িয়ে পড়ার পরেই সব সমস্যার সূত্রপাত হয়। হজসনের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগ আনে ব্রিটিশ দৈনিকগুলো। এও বলা হতে থাকে, ড্রেসিংরুমে থাকা এক ফুটবলার নাকি কোচের এই মন্তব্য মোটেই ভাল ভাবে নিতে পারেননি। |
টাউনসেন্ডকে নিয়ে ঠাট্টা করে অস্বস্তিতে হজসন। ছবি: এএফপি। |
তবুও গোটা ব্যাপারটা ঠাট্টা হিসাবেই নিয়েছেন বলে জানিয়ে কোচের সমর্থনে টাউনসেন্ড টুইট করেন, “বুঝতে পারছি না এত বড় কী ব্যাপার ঘটেছে। কোনও রকম কুরুচিকর ইঙ্গিত করে কোচ মন্তব্যটা করেননি। আর আমি কিছু মনে করিনি।” কিন্তু জল এতদূর গড়ায় যে স্বয়ং হজসনকে ক্ষমা চাইতে হয় বিতর্কের অবসান ঘটাতে। ইংল্যান্ড কোচ বলেন, “আমি ক্ষমা চাইছি যদি আমার মন্তব্যে কারও খারাপ লেগে থাকে। আমি মোটেও বর্ণবিদ্বেষমূলক কিছু বলতে চাইনি। এই ব্যাপারে আমি টাউনসেন্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। ও আমায় বলল যে মন্তব্যটা অন্য রকম ভাবে নেয়নি। আর এফএ-ও বুঝতে পেরেছে যে আমি কী বলতে চেয়েছিলাম।”
কোচের সমর্থনে দলের তারকা স্ট্রাইকার ওয়েন রুনিও টুইট করেছেন। বলেছেন, “আজ কাগজে দেখলাম হজসনের ঘটনাটা। কোচ কিছু ভুল করেননি।” বিতর্কিত মন্তব্য করে ইংল্যান্ড কোচ পার পেয়ে গেলেও, এক মাস আগে বোর্নেমাউথের সঙ্গে ম্যাচে রেফারিকে গালিগালাজ করার জন্য পাঁচ ম্যাচ সাসপেন্ড হলেন ব্ল্যাকপুলের তারকা কোচ পল ইন্স। |