কয়লা কেলেঙ্কারিতে কর্পোরেট জগৎ ও রাজনীতিকদের যোগাযোগ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। সেই সময়েই অন্য একটি মামলার শুনানিতে বেসরকারি সংস্থা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যোগসাজশ ও দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে বলে মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রাক্তন কর্পোরেট লবিস্ট নীরা রাডিয়ার সঙ্গে নানা কর্পোরেট কর্তা, রাজনীতিক-সহ বিভিন্ন ব্যক্তির ফোনে কথোপকথন রেকর্ড করেছিল আয়কর দফতর। টুজি স্পেকট্রাম বণ্টনের ক্ষেত্রে রাডিয়া প্রভাব বিস্তার করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছিল নানা শিবির। তবে সেই মামলায় তাঁকে অভিযুক্ত করেনি সিবিআই। রাডিয়ার সঙ্গে তাঁর ফোনে কথোপকথন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন রতন টাটা। রাডিয়া টেপে প্রকাশিত দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে আর্জি জানায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও। সেই মামলারই শুনানি ছিল আজ।
বিচারপতি জি এস সিঙ্ঘভির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের মতে, রাডিয়া টেপ থেকে প্রাথমিক ভাবে মনে হয় নানা বেসরকারি সংস্থা ও সরকারি অফিসারদের মধ্যে গভীর যোগ আছে। নিজেদের প্রয়োজনে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন।
রাডিয়া টেপ বিশ্লেষণের কাজ করছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি। আজ ওই কমিটিতে আয়কর দফতরের আরও ১০ জন সাব-ইনস্পেক্টরকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। বিচারপতিদের মতে, কেবল টুজি স্পেকট্রাম নয়, নানা ক্ষেত্রেই দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে। মোট ৬টি বিষয় নিয়ে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। দু’মাসের মধ্যে বেঞ্চের কাছে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। টেপে উল্লিখিত একটি বিষয়ে বিচারবিভাগ জড়িত থাকায় সেটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। অন্য একটি বিষয় পাঠানো হয়েছে খনি দফতরের ভিজিল্যান্স অফিসারের কাছে।
১৬ ডিসেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে।
|