অনির্বাণ রায় • জলপাইগুড়ি |
সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের পরিবর্তিত নকশায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রাথমিক অনুমতি মিলেছে। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর আগেই নতুন ভাবে নকশা তৈরি করে হাইকোর্টকে দেখানো হয়েছে। সেই নকশাকে প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে বলে পূর্ত দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। যদিও নতুন নকশা অনুযায়ী স্থায়ী ভবনের নির্মাণ খরচ অন্তত দেড় গুণ বাড়তে চলেছে। বর্তমানে প্রায় ৯০ হাজার বর্গফুটের চারতলা ভবন নির্মাণের জন্য ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ মঞ্জুর করেছে রাজ্য সরকার। নতুন নকশা অনুযায়ী ভবনের আরও একটি তলা বাড়বে। সেই সঙ্গে অকটি অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম তৈরি হবে। প্রতিটি ঘরের আয়তন দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন নকশা অনুযায়ী কাজ শুরু করতে হলে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে অন্তত ১০০ কোটি টাকা করতে হবে।
পুজোর আগেই নতুন নকশা অনুমোদন করার কথা রাজ্য সরকারকে হাইকোর্টের তরফে জানানো হলেও তা সম্ভব হয়নি। সরকারি সূত্রের খবর, পুজোর ছুটি শেষ হওয়ার পরে, কলকাতা হাইকোর্টের ফুল বেঞ্চের বৈঠকে নকশার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। তার পরেই ফের জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে পূর্ত দফতর আশা করছে। সব ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকে ফের কাজ শুরু হবে।
তবে হাইকোর্ট থেকে চূড়ান্ত নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফে কোনও ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে নকশা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে, পূর্ত দফতরের রাজ্যের প্রধান স্থপতি (চিফ আর্কিটেক্ট) মলি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ মতো নকশায় পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন ভাবে সেই নকশা তৈরির কাজ শেষ। ভবনের সব ঘরের আয়তন বাড়ানো হয়েছে। কিছু সংযোজনও হয়েছে।”
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে অধিগ্রহণ করা ৪০ একর জমিতে সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের তদানিন্তন প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেল এবং অনান্য বিচারপতিরা সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এর পরে চলতি বছরের এপ্রিল মাস নাগাদ স্থায়ী ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরে হাইকোর্টের আপত্তিতে সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায় বলে জানা গিযেছে। পূর্ত দফতর এবং আইন দফতর সূত্রে জানানো হয়, ভবনের নকশা নিয়ে হাইকোর্ট আপত্তি তোলায় কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। এবারে হাইকোর্টের অনুমোদন পেলে দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু হবে হলে বলে জানানো হয়েছে।
বার কাউন্সিলের সদস্য তথা এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আইনজীবী গৌতম দাস বলেন, “হাইকোর্টের আপত্তি নিয়ে রাজ্য সরকারের একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করতে যাবেন। পাশাপাশি পূর্ত দফতরও নকশার কাজ শেষ করেছে। আশা করছি, দ্রুত কোনও সুখবর পাওয়া যেতে পারে। রাজ্য বার কাউন্সিলও জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের কাজ শুরু করতে সচেষ্ট রয়েছে।” |