নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
তৃণমূলের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের জেরে সভাধিপতি পাসকেল মিনজ অপসারিত হলেও আইনি প্রশ্ন তুলে তা মানতে নারাজ দার্জিলিং জেলা সিপিএম। তাই আগামী সোমবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নতুন সভাধিপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সিপিএম অংশ নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, সিপিএমের তরফে সভাধিপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় দলের কোনও সদস্য যাতে অংশগ্রহণ না-করেন, সে জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সিপিএমের দার্জিলিং জেলার কার্যনির্বাহী সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, “আমাদের দলের সদস্যদের সোমবার মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচনে অংশ নিতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ, বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছে।” জীবেশবাবুর অভিযোগ, “উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করছে তৃণমূল। দল ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল করছে তৃণমূল।” তবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের বক্তব্য, “বাম ও কংগ্রেস মিলে পুরসভাকে যে বাবে অকেজো করে রেখেছেন, তেমন ভাবেই মহকুমা পরিষদও অচল করতে চাইছে। কিন্তু, উন্নয়ন প্রক্রিয়া আমরা কোথাও বন্ধ হতে দেব না।”
মহকুমা পরিষদের ৭ টি আসনের মধ্যে ৪টি ছিল বামেদের দখলে ও ৩ টি কংগ্রেসের দখলে। বিরোধী দলনেতা আইনুল হক সহ দু’জন কর্মাধ্যক্ষ কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলে যোগদান করেই সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তাঁরা। গত ৭ অক্টোবর অনাস্থা ভোটে পাসকেল মিন্জের বিরুদ্ধে ভোট দেন তাঁরা। পাশাপাশি সিপিএম সদস্য তথা সহকারি সভাধিপতি জ্যোতি তিরকিও সভাধিপতির বিরুদ্ধে ভোট দেন। সে জন্য জ্যোতিদেবীকে শোকজ করে সিপিএম। আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে লিখিত ভাবে অথবা সরাসরি দলীয় কার্যালয়ে এসে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে জ্যোতি দেবী দাবি করেছেন, দলের কাছ থেকে চিঠি পাননি। তিনি বলেন, “আমার কাছে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। ৭ অক্টোবর যখন গিয়েছি, তখন সভাধিপতি নির্বাচনেও যাব।”
মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা সদ্য তৃণমূলে যোগদানকারী আইনুল হক বলেন, “নতুন সভাধিপতি পদে জ্যোতি তিরকি ছাড়া যোগ্য আর কেউ নেই। তিনি প্রার্থী হলে সমর্থন জানাব।” কিন্তু, ২০০৯ সালে সিপিএমের টিকিটে জিতে এখন দলত্যাগ না করে কী ভাবে জ্যোতি দেবী তৃণমূলের প্রার্থী হবেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। |