নিম্নচাপ কেটে গিয়ে রোদের দেখা মিললেও টানা বর্ষণের জেরে দুর্ভোগ অব্যাহত পুরুলিয়া শহরে। নদীর জলে ডুবে পাম্প বিকল হয়ে যাওয়ায় বন্ধ পুরসভার জল সরবরাহ। ফলে দশমী থেকে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পুরবাসী। প্রশাসন ও পুরসভার যৌথ ভাবে জল সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে নামলেও বুধবার রাত পর্যন্ত পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি।
পুরুলিয়া পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, শহর লাগোয়া কংসাবতী নদী থেকে এই শহরে জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু অষ্টমীর রাত থেকে টানা বর্ষণের জেরে নদী তীরের তেলেডি পাম্পিং স্টেশনের বেশিরভাগ যন্ত্রপাতিই জলের নীচে চলে যায়। জল সরবরাহের দায়িত্বে থাকা পুরসভার এক পদস্থ বাস্তুকার পঞ্চানন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পাম্পিং স্টেশনের মধ্যে থাকা একাধিক ‘ইনটেক ওয়েলে’ প্রবল জলের তোড়ে বালি ঢুকে গিয়েছে। বালি ঢুকেছে পাম্প মেশিনের ভিতরেও। নদী তীরেই কিছুটা দূরে শিমূলিয়ায় আরও একটি পাম্পিং স্টেশন রয়েছে। কিন্তু প্রায় একই অবস্থা সেখানেও। জলের তোড়ে বহু তার ছিঁড়ে গিয়েছে।” তিনি জানান, বালি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। |
পুরসভার জল যায় পুরুলিয়া সদর হাসপাতালেও। ফলে জলহীনতার প্রভাব পড়েছে সেখানেও। পাইপ লাইনে জল না আসায় দশমীর দিন থেকেই ফাঁকা পড়ে রয়েছে হাসপাতালের ওভারহেড ট্যাঙ্কগুলি। হাসপাতালের সুপার নীলাঞ্জনা সেন বলেন, “গাড়ি থেকে বালতিতে করে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও অপারেশন থিয়েটারে জল তুলতে হচ্ছে। জলের বিকল্প ব্যবস্থা করতে জেলাশাসককে চিঠি দেব।” পুরুলিয়ার পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সাহেববাঁধের জল পরিশোধন করে হাসপাতালে পাইপলাইনের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়ারও চেষ্টা চলছে।”
এ দিকে উৎসবের মরশুমে পানীয় জল না পাওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে শহরের কিছু এলাকায়। পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিভাস দাস বলেন, “কেন জল নেই, পুরবাসীর সেই প্রশ্নের সামনে পড়তে হচ্ছে। এমন অবস্থার কথা ভেবে পুর কর্তৃপক্ষের আগাম ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।”
পাম্পহাউসে মেরামতির কাজ দেখতে এ দিন কংসাবতী নদী তীরে তেলেডি পাম্পিং স্টেশনে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সবুজবরণ সরকার। তিনি বলেন, “মেরামতির কাজে দেরি হলে বিকল্প কী ব্যবস্থার মাধ্যমে জল সরবরাহ করা যায় তা দেখা হচ্ছে।”
|
মারধরে জখম ৮
নিজস্ব সংবাদদাতা • সোনামুখী |
পারিবারিক বিবাদের জেরে মারপিট করে জখম হলেন আট জন। তাঁদের সোনামুখী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সোনামুখী থানার গোপীকান্তপুর গ্রামের ঘটনা। খবর পেয়ে সংঘর্ষ থামাতে ওই গ্রামে পুলিশ যায়। তবে নির্দিষ্ট ভাবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েনি। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। |