কুয়েতের টিমকে হারিয়ে এএফসি কাপের ফাইনালে যেতেই হবে। তার আগে বৃহস্পতিবারের ডেম্পো ম্যাচটা জিতে টেস্ট পরীক্ষাটা উতরে দিন।
ঈদের সকালে সতীর্থ দীপঙ্কর রায়ের সঙ্গে শিয়ালদা থেকে ট্রেনে কল্যাণী যাওয়ার সময় ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক মেহতাব হোসেন বুধবার এমন অনুরোধই পেয়েছেন লাল-হলুদ সমর্থকদের কাছ থেকে। বিকেলে কল্যাণী স্টেডিয়ামে অনুশীলনে নামার সময় মেহতাবদের কাছ থেকে এ কথা শুনেই চনমনে জেমস মোগা। স্টেডিয়াম লাগোয়া লেক হলের বারান্দায় সাদা রঙের জাম্বো হেড ফোন কান থেকে সরিয়ে বললেন, “আমার গোলের চেয়েও ডেম্পোকে হারিয়ে তিন পয়েন্ট দরকার দলের।”
এএফসি কাপের সেমিফাইনালে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ দরজায় কড়া নাড়ছে। দু’গোলের ব্যবধানে জিতলেই ফাইনালের টিকিট চলে আসবে। তার আগে যাদের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে জেতাটাই অসম্ভব ছিল সেই লাজংকে শিলংয়ে গিয়ে চার গোলে হারানো! তাও আবার মেহতাব, অর্ণব-সহ দলের পাঁচ ফুটবলারকে বাদ দিয়ে! যদিও লাল-হলুদ কোচ মার্কোস ফালোপা তা সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাসকে দলের ধারে কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছেন না। তাঁর সহকারী রঞ্জন চৌধুরীও বলছেন, “জেতাটা অভ্যাস করে ফেলেছে মেহতাবরা। লাজং ম্যাচের জয় একটা বড় অনুপ্রেরণা। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ঢোকা চলবে না কোনও ভাবেই।” |
আগামী মঙ্গলবার এএফসি কাপের কুয়েত এসসি ম্যাচের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে ডেম্পো কি তা হলে আপনাদের ‘পাঞ্চিং ব্যাগ’? প্রশ্ন শুনেই চোখ কপালে ব্রাজিলীয় ফালোপার। বললেন, “এখনকার ফুটবলে কেউ কারও ‘পাঞ্চিং ব্যাগ’ নয়। তা ছাড়া ডেম্পো ভারতীয় ফুটবলের একটা বড় শক্তি। ওদের এ রকম হেলাফেলা করা যায় না!”
চার ম্যাচের পর আই লিগ টেবলে ন’নম্বরে থাকা আর্থার পাপাসের দলের পয়েন্ট মাত্র তিন। জয়ের মুখ এখনও দেখেনি বেটোরা। মুম্বই এফসি এবং রাঙ্গদাজিদের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি গোয়ার দলটি। চোট সারাতে বিদেশে যাওয়ায় দলে নেই মহেশ গাউলি। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন কল্যাণীতে ডেম্পোর ওপর তা হলে কি পারফরম্যান্সের স্টিম রোলার চালিয়ে দেবেন? শুনে “বেটো, জেজেও কিন্তু বেশ ভাল” বলে ড্রেসিংরুমে ঢুকে পড়লেন চিডি। আর মোগা বলে গেলেন, “শুরুর দিকে বল নিজেদের পায়ে বেশি রেখে ওদের তরুণ ছেলেদের ছন্দ কেটে দিতে হবে।” আর এই ছন্দ কাটতে মেহতাবের দাওয়াই, “শুরুতে গোল চাই।”
লাজংয়ের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশের পাঁচ ফুটবলারকে দলে না রেখে বিতর্কের সামনে পড়েছিলেন ফালোপা। এ বার কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ইস্টবেঙ্গল কোচ। বলছেন, “প্রত্যেকেই তো ভাল খেলছে। কাকে বাদ দেব!” যদিও এ দিন অনুশীলনে যে দল খেলালেন তাতে মেহতাব-অর্ণব-সৌমিক পুরোদমেই ছিলেন। টিম সূত্রের খবর, এএফসি কাপের ম্যাচের আগে নিজের প্রথম দলকে শেষ বার দেখে নিতে চাইছেন ফালোপা।
ডেম্পো কোচ আর্থার পাপাস আবার সকালে ইস্টবেঙ্গল মাঠে অনুশীলন করতে এসে বড় ঘাস দেখে ক্ষুব্ধ। বলছেন, “ইস্টবেঙ্গল এএফসি কাপের সেমিফাইনালে গেলেও, আহামরি কিছু নয়। ওদের হারানো সম্ভব।”
লক্ষ্মীবারে সেই পাপাসকে ভুল প্রমাণিত করবেন মোগা-চিডিরাএই আশাতেই আজ ‘কল্যাণী চলো’ অভিযান লাল-হলুদ সমর্থকদের।
|
বৃহস্পতিবার- আই লিগ
ইস্টবেঙ্গল-ডেম্পো (কল্যাণী, ২-৩০)।
|