প্রথমটা তাঁর ঘরের মাঠ, তাঁর ক্রিকেটজীবনের ধাত্রীভূমি। সেখানে তাঁর নামে স্ট্যান্ড আছে, নিজের দুশোতম টেস্টটাও ওখানে খেলবেন। এবং খেলে ক্রিকেটকে চিরবিদায়।
দ্বিতীয়টা কোনও ভাবে তাঁর ঘরের মাঠ নয়। কিন্তু আবেগের সিংহাসনটা বোধহয় আলাদা। নইলে নিজে একশো নিরানব্বই টেস্ট চেয়ে নেন?
তবু ওয়াংখেড়ে আর ইডেনের মধ্যে আজ বড় তফাত! অন্তত সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের অন্তিম দু’টো টেস্টের কেন্দ্রস্থল জানানোর পরবর্তী চব্বিশ ঘণ্টাকে ধরলে তো বটেই! সিএবি যদি এখন থেকেই তীব্র ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে সচিনের একশো নিরানব্বইতম টেস্ট আয়োজনে, যদি উপহার হিসেবে সোনার ব্যাট-বলের ভাবনাচিন্তা চালু করে দেয়, তা হলে এমসিএ-তে তেমন কোনও তাপ-উত্তাপই নেই মহানায়কের দু’শো টেস্ট বা অসবর নিয়ে! ওয়াংখেড়েকে ইতিহাসের কেন্দ্র হিসেবে সরকারি ঘোষণা করে দেওয়ার পরেও।
কী রকম? |
বুধবার মুম্বইয়ে ফোন করে জানা গেল, কর্তারা বরং বেশি করে আচ্ছন্ন মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচন নিয়ে। যা আগামী ১৮ অক্টোবর। মুম্বই ক্রিকেটের মসনদে শরদ পওয়ার আসবেন, না কি তাঁর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতা গোপীনাথ মুণ্ডে দাঁড়ানোর ছাড়পত্র পাবেন, সেটা নিয়েই শোনা যাচ্ছে আপাতত বেশি আগ্রহ মুম্বই ক্রিকেটমহলে। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে মুণ্ডে মনোনয়ন জমা করলে কী হবে, সেটা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, মুণ্ডে মুম্বইয়ের বাসিন্দাই যখন নন, তখন কী ভাবে মুম্বই ক্রিকেট সংস্থায় আসবেন? গঠনতন্ত্রেই তো আটকে যাচ্ছে। বুধবার মুণ্ডের ব্যাপারটা নিয়ে এমসিএ প্রেসিডেন্ট রবি সবন্তের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তের খবর নেই। জানা গিয়েছে, এই নিয়ে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট বিনোদ দেশপাণ্ডে আনন্দবাজারকে ফোনে বলছিলেন, “আগামী শনিবারের আগে প্রাথমিক ভাবে কিছু ঠিক হবে বলেও মনে হচ্ছে না। সবাই তো নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত।” বলা হচ্ছে, পওয়ার আগে জিতে আসুন, তার পর সব ভাবা যাবে।
সিএবি-র ছবি আবার সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী। ঈদের ছুটিতেও সিএবি খোলা রেখে বোর্ডের কাছে ই-মেল করে জানতে চাওয়া হয়েছে, ইডেনে সচিনের শেষ টেস্টের টিকিটের উপর তাঁর কোনও ছবি রাখা যাবে কি না। ইডেনে তাঁর সেঞ্চুরির একটা ছবি। সোনার ব্যাটের দাম নিয়েও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, একশো সোনার গিনি সচিনকে ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে সিএবি। বিদায়বেলায় জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে যদি সোনার ব্যাট দেওয়া যায় লিটল মাস্টারকে, মন্দ হবে না। কোনও কোনও অত্যুৎসাহী কর্তা আবার বলে রাখছেন, যদি পঞ্চম দিন পর্যন্ত টেস্ট চলে, তা হলে বলিউডের দুই মহাতারকা অমিতাভ বচ্চন এবং শাহরুখ খান দু’জনকেই ইডেনে উপস্থিত করানোর চেষ্টা করা হবে। কারণ, তাঁরা দু’জনেই তখন শহরে থাকবেন। এবং আগেভাগে আমন্ত্রণ পাঠানো হবে বলেও খবর।
|