রোহিতের মানসিকতা আর বিরাটের অবিশ্বাস্য স্ট্রোকে বাজিমাত

• টিম ইন্ডিয়া-র ড্রেসিংরুমের বিশ্বাস। ‘আমরাও পারি’ এই আত্মবিশ্বাসটা এত পরিমাণে বোধহয় এর আগে কোনও ভারতীয় দলের ভেতর ছিল না। শিখর, জাডেজা, কোহলিদের এই ব্যাচটা ভীষণ আক্রমণাত্মক। শুধু মাঠে ব্যাট বা বল হাতেই নয়। শরীরীভাষা এবং মনের দিক দিয়েও। নিজেদের পুরোপুরি প্রকাশ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই। নইলে আমাদের সময়ে লম্বা চুল রাখা বা এদের মতো কানে দুল পরতে, মিলিটারি গোঁফ রাখতে গেলে ভারতীয় ক্রিকেটাররা একবার ছেড়ে দশবার ভাবত।

• বিশাল রানের টার্গেট সফল ভাবে তাড়া করতে গেলে প্রথমেই দরকার খুব ভাল একটা ওপেনিং পার্টনারশিপ। শিখর ধবন-রোহিত শর্মা একটা দুর্ধর্ষ শুরু দিয়েছে। প্রথম উইকেট পড়েছে ১৭৬ রানে। সাতাশ ওভারের মাথায়। তার মানে তখন বাকি তেইশ ওভারে দরকার আরও ১৮৪ রান। হাতে ন’উইকেট। টি-টোয়েন্টির যুগে যেটা তোলা মোটেই অসম্ভব নয়। আসলে টি-টোয়েন্টির কল্যাণে এখন পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচেও দলগুলো বিশাল টার্গেটকে দু’ভাগে ভাগ করে নিচ্ছে। হাতে যত বেশি সম্ভব উইকেট রেখে প্রথম তিরিশ ওভারে বল প্রতি এক রান করো। মানে ৩০ ওভারে ১৮০ রান। সেক্ষেত্রে শেষ ২০ ওভারে জেতার জন্য হয়তো দরকার থাকছে আরও ১৬০-১৭০ রানের। কিন্তু টি-টোয়েন্টির যুগে কুড়ি ওভারে ১৭০ রান কোনও অসম্ভব টার্গেট নয়। বরং এ রকম টার্গেটই টি-টোয়েন্টিতে সাধারণত তাড়া করতে হয়। ফলে এখন একদিনের ম্যাচের শেষ কুড়ি ওভার প্রায়শই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। আর কোহলিরা এই ক্রিকেটে ‘টেলরমেড’ ব্যাটসম্যান।
• রোহিতের এই প্রথম খুব ভাল একটা তিরিশ বা পঞ্চাশ রানের ইনিংস খেলার পর ‘সেট’ হয়ে গিয়েও আউট না হয়ে ফিনিশ করে আসা। এমনকী সেঞ্চুরির পরেও ওর ব্যাটিং দেখে একবারও মনে হল না যে, কোনও আত্মতুষ্টি বা হালকা মনোভাব চেপে বসেছে বলে! আমার মতে এই ইনিংসটা ওর ভবিষ্যৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবনের একটা টার্নিং পয়েন্ট।

• কোহলির অবিশ্বাস্য স্ট্রোক প্লে। হোয়াট আ ইনিংস! যে কোনও ডেলিভারিতে নিজের ইচ্ছে মতো শট মেরেছে। পুল, কাট, হুক কিচ্ছু বাদ যায়নি। বিরাটের ৫২ বলে সেঞ্চুরিটার সবচেয়ে বড় তাৎপর্য, রোহিতের উপর থেকে চাপটা ও-ই পুরোপুরি সরিয়ে দিয়েছে। যার ফলে রোহিতের পক্ষেও অমন অসাধারণ ব্যাটিং করা সম্ভব হয়েছে সাড়ে তিনশোর বেশি রান তাড়া করতে নেমে। কোহলির অনেক দুরন্ত আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি আছে ঠিকই। কিন্তু মোক্ষম চাপের পরিস্থিতিতে ম্যাচের উপর এমন বিশাল প্রভাব সৃষ্টিকারী সেঞ্চুরি বোধহয় আগে নেই।

• অস্ট্রেলিয়ার গণহারে খুব খারাপ বোলিং। কোহলির অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরির কথা মাথায় রেখেও বলব, ওর বেশির ভাগ চার-ছয়গুলো এসেছে মিড-উইকেট, মিড-অন দিয়ে। ভিডিও-সিডির যুগে গোটা ক্রিকেটদুনিয়া জানে, বিরাটের সেরা স্কোরিং জোন হল স্কোয়ার অফ দ্য উইকেট। আর সেখানেই ওকে বল খাইয়ে গিয়েছে এ দিন অস্ট্রেলীয়রা।

• ঠিক ৩৫৯ রানই তোলায় কি দশ বছর আগের ওয়ান্ডারার্স বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা ভেবে অস্ট্রেলিয়া একটু আত্মতুষ্ট হয়ে পড়েছিল এ দিন?




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.