পুজো মন্ডপের মধ্যে এক মহিলাকে গণধর্ষণের পরে খুনের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার মহাষ্টমীর রাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার কালদিঘি এলাকায়। স্থানীয় একটি বারোয়ারি দুর্গাপুজো মন্ডপের ভেতরে দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। রবিবার, নবমীর সকালে ওই মহিলার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ মন্ডপের ঢাকি অনুকূল নট্ট এবং এলাকার নৈশপ্রহরী ভবতোষ গায়েন নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণী মানসিক ভারসাম্যহীন হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন।
কালদিঘির ওই বারোয়ারি দুর্গাপুজো কমিটির সম্পাদক তথা ওই অঞ্চলের তৃণমূলের বুথ কমিটির সভাপতি সন্তোষ দাস সাংবাদিকদের বলেন, “পুজো কমিটির কোনও সদস্য এই ঘটনায় জড়িত নন। রাত ১১টার পরে মন্ডপ ছেড়ে সকলে বাড়ি ফিরে যান। বহিরাগত কোনও দুষ্কৃতীরা মন্ডপের মধ্যে ওই দুষ্কর্ম ঘটিয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ। দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।”
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, ওই মহিলাকে ধর্ষণের পরে দুষ্কৃতীরা শ্বাসরোধ করে মেরেছে। দুষ্কৃতীরা মাটির সরা ও ধুনুচি দিয়ে মুখ ক্ষতবিক্ষত করে মন্ডপে দেহ ফেলে পালিয়ে যায় বলে পুলিশের অনুমান। দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। নিহতের এক আত্মীয় পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, ধর্ষণকারীদের চিনে ফেলাতেই খুন করা হয় চন্দনাকে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মানসিক ভারসাম্যহীন বলে বছর খানেক আগে ওই তরুণীকে তাঁর স্বামী রেখে যান। তিনি ভবঘুরের মতো থাকতেন। ঘটনায় ধৃত ঢাকি এবং নৈশপ্রহরীকে গত রবিবার মহকুমা আদালত থেকে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। |