তুমুল বৃষ্টির মধ্যে বিজয়া দশমীতে মিলন মেলায় মাতলেন অসম বাংলার বাসিন্দারা। সোমবার বক্সিরহাট বাজার লাগোয়া গরুহাটি ময়দানে ওই মেলায় শোভাযাত্রা-সহ প্রতিমা নিয়ে সামিল হন দুই রাজ্যের পুজোর উদ্যোক্তারা। বাসিন্দাদের ভিড়ে রীতিমতো জমজমাট হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান। অসমের বিহু থেকে এ রাজ্যের বৈরাতি নৃত্যের সংস্কৃতি শোভাযাত্রার থিম থেকে শৃঙ্খলা প্রতিমার চমক প্রভৃতি বিষয়ে আলাদা ভাবে তো বটেই সার্বিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে উদ্যোক্তারা পুজো কমিটির কর্তাদের পুরস্কার তুলে দেন।
এ বার মিলন মেলার ২৪ বছরেও মেলা ঘিরে উত্সাহের খামতি ছিল না। সকাল থেকে মেঘলা আকাশ বৃষ্টি উপেক্ষা করে দুই রাজ্যের অসংখ্য বাসিন্দা গরুহাটি ময়দানে জমায়েত করেন। বিকাল থেকে সেখানে একে একে দুই রাজ্যের ২৪টি পুজো কমিটির সদস্যরা নিজেদের প্রতিমা ও সুসজ্জিত শোভাযাত্রা নিয়ে আসেন। কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি পুস্পিতা ডাকুয়া উদ্বোধন করেন। তার পরেই দুই রাজ্যের পুজো কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি বাসিন্দারা বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ে মেতে ওঠেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজ্যের পূর্ত পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “দুই প্রতিবেশী রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে মেলা একটি মিলনের কাজ করে। তাই সাংস্কৃতিক আদান প্রদানে মিলন মেলা ব্যতিক্রমী। বৃষ্টিতেও উপচে পড়া ভিড়ে মেলার জনপ্রিয়তা স্পষ্ট হয়েছে।” |
মিলন মেলা কমিটি সূত্রে জানা যায়, এ বার সার্বিক মূল্যায়নে বক্সিরহাট বাজার দেবীবাড়ি পুজো কমিটি প্রথম পুরস্কার পায়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পায় যথাক্রমে বক্সিরহাট সবুজ সঙ্ঘ ও ভানুকুমারি ভোলানাথের ধাম সর্বজনীন কমিটি। প্রতিমায় বক্সিরহাটের স্বামীজি সঙ্ঘ এ বার প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। শোভাযাত্রার থিমে রামায়ণের কাহিনী ভিত্তিক ট্যাবলো করে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে ধুবুরির ছাগলিয়ার নাথপাড়া সর্বজনীন পুজো কমিটি। শোভাযাত্রার শৃঙ্খলার জন্য বক্সিরহাট কলেজ পাড়া সর্বজনীন পুজো কমিটিকে উদ্যোক্তারা পুরস্কৃত করেন। মিলন মেলা কমিটির সভাপতি তথা তুফানগঞ্জ ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি স্বপন সাহা জানান, ধুবুরি নাথপাড়া সর্বজনীন পুজো কমিটি ছাড়া কোকরাঝাড় জেলার ছোটগুমার পুরাণ দেবীবাড়ি পুজো কমিটি মেলায় অংশ নেয়। বাকি কমিটিগুলি বক্সিরহাট ও লাগোয়ার। আরও কমিটিকে মিলন মেলায় সামিল করার পরিকল্পনা হবে। |