প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হল। সোমবার থেকে বিভিন্ন এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প খোলা হয়েছে। এই সব ক্যাম্পে গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন এলাকায় মেডিক্যাল টিমও কাজ করছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। পরিস্থিতি দেখেই দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।” নতুন করে কী কোনও এলাকায় জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে? বিশেষ করে ডায়েরিয়া? মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “নতুন করে কোনও এলাকায় জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে বলে আমাদের কাছে খবর নেই। তবে, জলমগ্ন এলাকাগুলোর দিকে নজর রাখা হচ্ছে।”
আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ডায়েরিয়া ছড়িয়েছে। বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। সাধারণত, জলমগ্ন এলাকাতেই এই রোগ ছড়ায়। মাস খানেক আগে জেলার একের পর এক এলাকায় অজানা জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়। বেশ কয়েকজন ডেঙ্গি, ডায়েরিয়া, টাইফয়েড, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক কিশোরীর মৃত্যুও হয়। সেই সময় অতিবৃষ্টির পরপরই বিভিন্ন এলাকা থেকে ডায়েরিয়া, অজানা জ্বরের প্রকোপ ছড়ানোর খবর আসতে শুরু করে। গত তিন দিনেও জেলায় অতিবৃষ্টি হয়েছে। জলাধারের ছাড়া জলে বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। ফলে, জল নামতে শুরু করলে এ বারও এই সব এলাকায় অজানা জ্বরের প্রকোপ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকছেই। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “জ্বর ছড়াতে পারে। আমরা সতর্ক আছি। গ্রামবাসীদেরও সতর্ক করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে জেলা থেকেও মেডিক্যাল টিম যাচ্ছে। উদ্বেগের কিছু নেই।” |