একসঙ্গে সুপার-সহ ১২ জন চিকিৎসক ছুটিতে যাওয়ায় দিনহাটা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবারও ওই হাসপাতালের চোখ ও দাঁতের চিকিসার বর্হিবিভাগ বন্ধ ছিল। ফলে গ্রামাঞ্চল থেকে যাওয়া রোগীদের অনেকে ফিরে যেতে বাধ্য হন। হাসপাতাল সূত্রেই জানা গিয়েছে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে অনুমোদিত চিকিৎসক পদ রয়েছে ৩২ টি। তার মধ্যে ১০ টি পদ দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা রয়েছে। পুজোয় কর্মরত ২২ জন চিকিৎসকের মধ্যে সুপার সহ ১২ জন ছুটিতে গিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জন শিশু বিশেষজ্ঞ, ২ জন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ২ জন স্ত্রী ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ, ১ জন করে অস্থি, চোখ ও দাঁতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। সুপার সোমবার থেকে ছুটিতে গিয়েছেন। ফলে ১০ জন চিকিৎসককে বর্হিবিভাগ থেকে অন্তর্বিভাগ সামলাতে হচ্ছে।
হাসপাতালের অন্তর্বিভাগে চিকিৎসাধীন প্রায় ২০০ রোগীর চিকিৎসা পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটছে। দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “ওই হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে বাসিন্দাদের তরফে বিস্তর অভিযোগ পাচ্ছি। চিকিৎসকদের ছুটির ব্যবস্থা হলে সমস্যা এতটা চরম হত না। কেউ দেখার না থাকলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে।”
দিনহাটা নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক জয়গোপাল ভৌমিক বলেন, “পুজোর সময় চিকিৎসকরা একযোগে ছুটি নেওয়ায় পরিষেবা তলানিতে ঠেকেছে। এদিনও দুটি বিভাগের বর্হিবিভাগ বন্ধ ছিল। দ্রুত সমস্ত পরিষেবা স্বাভাবিক না হলে আন্দোলনে নামব বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি।”
কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “সমস্যা এড়াতে পরিষেবা স্বাভাবিক রেখে পর্যায়ক্রমে চিকিৎসকদের ছুটির ব্যবস্থা করার কথা ছিল। দিনহাটা হাসপাতালের বিষয়টি নিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।” কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভাশিস সাহা অবশ্য জানান, নিয়ম মেনেই চিকিৎসকরা ছুটি নিয়েছেন। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার উজ্জ্বল আচার্য বলেন, “সাধ্যমত পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা হচ্ছে।”
|
আন্ত্রিকে অসুস্থ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বরাবাজার |
পুজোর মধ্যেও আন্ত্রিকের প্রকোপ ছড়াল বরাবাজারের বেলডি গ্রামে। শুক্রবার থেকে ওই গ্রামে ছড়ায়। বাসিন্দাদের দাবি, মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ৪০ জন আন্ত্রিকে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু চিকিৎসা মিলছে না বলে তাঁদের অভিযোগ। বরবাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আন্ত্রিক নিয়ে ভর্তি হওয়া বিকাশ মাহাতো ও বুকা মাহাতো মঙ্গলবার বলেন, “আমাদের গ্রামে কয়েক দিন ধরে আন্ত্রিকের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। পেটের গোলমালের সঙ্গে বমি ও জ্বর হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নজরদারিতে ঘাটতি রয়েছে। সব ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে না।” এই অবস্থায় অনেকে বাড়িতে থেকেই স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করাচ্ছেন। বলে গ্রামবাসীর একাংশের অভিযোগ। ওই গ্রামে চিকিৎসক পাঠানো হয়নি বলে তাঁদের ক্ষোভ। যদিও বরাবাজারের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পরিতোষ সোরেনের দাবি, “চিকিৎসায় খামতির অভিযোগ ঠিক নয়। এ পর্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১২-১৫ জন বিভিন্ন দিনে ভর্তি হয়েছেন।” তিনি জানান, বেলডি গ্রামের মাহাতো পাড়ার একটি নলকূপে দূষিত জল মিশে আন্ত্রিক ছড়িয়েছে বলে তাঁরা প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা ওষুধ নিয়ে ওই গ্রামে নিয়মিত যাচ্ছেন বলে তিনি দাবি করেছেন। |