যুবভারতীতে কি আদৌ কোনও প্রশাসন আছে?
সল্টলেক স্টেডিয়াম ভাড়া দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন কে?
মঙ্গলবার সকালে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের অনুশীলনে মাঠ নিয়ে ঝামেলা সেই প্রশ্ন আরও এক বার উসকে দিল।
করিম বেঞ্চারিফার দলের অনুশীলনের মাঝেই মাঠে ঢুকে পড়লেন মার্কোস ফালোপা। পুরো ইস্টবেঙ্গল দল নিয়ে। আর যা দেখে বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ বাগানের মরক্কান কোচ রাগে গজগজ করতে করতে বাড়ি ফিরে গেলেন। অনুশীলনের মাঝপথেই। রাতে এসএমএস করে বলে দিলেন, “পুরো ঘটনায় আমি বিরক্ত। সোমবার মাঠ পাইনি অনুশীলনের জন্য। মঙ্গলবারও পুরো অনুশীলনই করাতে পারলাম না। কিন্তু এই নিয়ে আর কোনও কথা বলতে চাই না। যা বলার কর্তারাই বলবেন!”
কিন্তু দোষ তা হলে কার? মোহনবাগান ফুটবল বিভাগের কর্তা সঞ্জয় ঘোষ যে চিঠি নিয়ে ঘুরছেন তাতে ওডাফা-ইচেদের জন্য মাঠ দেওয়া হয়েছে সকাল আটটা থেকে দশটা। আবার ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজার স্বপন বল দাবি করছেন, “চিঠি আছে। সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে দশটা মাঠ আমাদের দেওয়া হয়েছে।”
মঙ্গলবার সকালে আটটা থেকে অনুশীলন চলছিল বাগানের। কাতসুমি-সন্দীপদের গা ঘামানোর পর আধ ঘণ্টাও পার হয়নি, দলবল নিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন ফালোপা। দুই যুযুধান ক্লাবের ফুটবলাররা একসঙ্গে মাঠে। অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। |
দেখা যায়, একই মাঠে এক দিকে বল পায়ে এরিক-ইচেরা। অন্যদিকে পাশে মেহতাব-চিডিরা জগিং করছেন। পরিস্থিতি দেখে করিম এতটাই খেপে যান যে, সময় নষ্ট না করে মাঠ থেকে বেরিয়ে সোজা বাড়ির পথ ধরেন। “আমরা যখন অনুশীলন করছি, তখন ইস্টবেঙ্গল মাঠের মধ্যে জোর করে ঢুকে পড়ে কী ভাবে? সৌজন্যেরও তো একটা বিষয় রয়েছে,” বলছিলেন মোহন-কর্তা সঞ্জয়। পাল্টা স্বপন বলের মন্তব্য, “আমাদের কাছেও সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত অনুশীলন করার অনুমতির চিঠি রয়েছে। আমরা তো নামবই।”
করিম রাগ করে মাঠ ছাড়লেও মোহন অধিনায়ক ওকোলি ওডাফা কিন্তু থেকে যান। কাতসুমি-আদিল-ইচেরা ড্রেসিংরুমে ফিরে যাওয়ার পরও নিজেকে ফিট করতে একাই অনুশীলন করে চলেন নাইজিরিয়ান গোলমেশিন। যুবভারতী ছাড়ার আগে বলেও গেলেন, “বল নিয়ে এখনও অনুশীলন করিনি। শনিবার স্পোর্টিং ম্যাচ খেলতে পারব কি না এখনই বলা কঠিন। হাতে চার দিন সময় আছে। দেখা যাক কী হয়।”
ওডাফার মতোই নিজেকে ফিট করতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গলের সুয়োকা। মঙ্গলবার থেকে অনুশীলনে নেমে পড়লেন জাপানি মিডিও। তবে এ দিন তিনি শুধু মাত্র কয়েক পাক দৌড়ানোর সঙ্গে হালকা স্ট্রেচিং-ও করেন। অনুশীলনের পর সুয়োকা বলে দেন, “মনে হচ্ছে পুরো ফিট হতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে।” |