আবার পুরনো রোগটা মাথা চাড়া দিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলাররা একবার ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়ার পরই কিন্তু সমস্যায় পড়ে গেল ওরা। আর এমন একটা পিচে প্রথম ম্যাচটা হল, যেখানে ফাস্ট বোলারদের জন্য পিচে কিছু না কিছু ছিল।
পুণেতে প্রথম এক দিনের ম্যাচে মিচেল জনসন দুর্দান্ত বল করল। জেমস ফকনার এবং ক্লিন্ট ম্যাককে ভারতের উপর চাপটা রেখে গেল। শেন ওয়াটসনকে মারাটাও কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। সবই মানলাম। কিন্তু ঘটনা হল, ভারত ম্যাচটা হেরে যায় অস্ট্রেলিয়াকে (৩০৪-৮) বেশি রান তুলতে দিয়ে। এর পর ভারত থেমে যায় ২৩২ রানে।
এ বার অন্য ভাবে ব্যাপারটা দেখা যাক। ফকনারের সাফল্যের পিছনে বাউন্স সে ভাবে কাজ করেনি। ম্যাককের ক্ষেত্রেও তাই। মানছি, ওদের দক্ষতা আছে। বুদ্ধি খাটিয়ে বলটাও করে। কিন্তু দুরন্ত গতি? কাম অন। আমিও জানি, আপনারাও জানেন ওদের গতিটা কী রকম।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কিন্তু কয়েকটা ব্যাপারে সতর্কিত করা দরকার। রোহিত শর্মা মাঝে মাঝেই চটকদার শট খেলতে যাচ্ছে। শুরুটা বড় রানে বদলাতে পারছে না। রান তাড়া করতে নেমে রোহিতকে কিন্তু আরও বেছে বেছে শট খেলতে হবে। দ্রুত গতির সামনে যুবরাজ ব্যাকফুটে চলে গিয়ে মোটেই স্বচ্ছন্দ বোধ করছে না। বাইরে যাওয়া বলকে খোঁচা দিচ্ছে। রায়নাকে ৩০-৪০ রানের বেশি করতে হবে। রবীন্দ্র জাডেজার শর্ট বল নিয়ে সমস্যা আছে।
বোলিং নিয়ে কিন্তু ভারতের সমস্যাটা আরও বেশি। ইশান্ত শর্মা আর বিনয় কুমারকে খুব নিষ্প্রভ দেখিয়েছে। রবি অশ্বিনের বোলিংটা মনে হয় অ্যারন ফিঞ্চের খুব পছন্দ হয়েছে। পুণেতে যা করেছে, তার চেয়ে যুবরাজকে আরও বেশি বোলিং করতে হবে। শুধু ভুবনেশ্বের কুমার আর রবীন্দ্র জাডেজাকে খারাপ লাগেনি।
ভারতের ভাগ্য ভাল, জাহির খান দলে ফিরে আসার জন্য তৈরি। জয়দেব উনাদকটকে খারাপ লাগছে না। অমিত মিশ্রও বেঞ্চে বসে আছে। ভারতের হাতে বিকল্প খারাপ নেই। আর সীমিত ওভারের ফর্ম্যাটে দয়া করে হরভজনকে এখনই মুছে ফেলবেন না।
পুণেতে অস্ট্রেলিয়াকে দেখে যা বুঝলাম, ওরা কিন্তু জেতার জন্য মরিয়া। খিদেটা আছে। ওদের অনেক লম্বা ব্যাটিং লাইন। বোলিংটাও খুব ভাল। ওরা একটা ছন্দে এসে গিয়েছে। পরের তিনটে ম্যাচে পিচ কেমন হয়, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। জয়পুরের ম্যাচটাও।
ভারতকে আরও একটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। উত্তর ভারতের শিশির। যার জেরে টসটা গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। পিচ নিঃসন্দেহে ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করবে। কিন্তু পেসাররাও বাউন্সটা পছন্দ করবে। বুধবারের পর ভারত কিন্তু সিরিজে খুব বেশি পিছিয়ে যেতে চাইবে না। |