জীবনের শেষ টেস্টে নামার সময় তো বটেই, সচিন তেন্ডুলকর যদি ওয়াংখেড়েতে সেঞ্চুরি পান, তা হলে সেই মাহেন্দ্রক্ষণেও যেন মাইক্রোফোনটা তাঁরই হাতে থাকে নতুন এই স্বপ্ন এখন ধারাভাষ্যকার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় ১৫ বছর একসঙ্গে কাটিয়েছেন যাঁর সঙ্গে, বিদেশ সফরে গিয়ে যাঁর সঙ্গে একই ঘরে ছিলেন, সেই কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরের বিদায়ী সিরিজে থাকছেন সৌরভ। টিভি কমেন্ট্রি বক্সে। ভারতীয় ক্রিকেটের সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে নিজেকে এ ভাবেই জড়িয়ে রাখতে চান প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। মঙ্গলবার এবিপি আনন্দ-র এক অনুষ্ঠানে সৌরভ তাঁর এই নতুন ইচ্ছের কথা জানিয়ে বলেন, “সচিনের শেষ টেস্টে টিভি ধারাভাষ্যকার হিসেবে থাকব। তবে ওকে শুরুতে ‘বেস্ট অফ লাক’ বলব না। কারণ, ওর একটা কুসংস্কার আছে। খেলা শুরুর আগে এটা বলতে ও বারণ করে। তবে যখন মাঠে নামবে তখন তো বটেই, এমনকী যখন সেঞ্চুরি করবে, ওই সময়ও যেন মাইক্রোফোনটা আমার হাতে থাকে, এটাই চাইব। এমনটা হলে তা আমার ক্রিকেটজীবনের অন্যতম সেরা স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে।” তবে যে হেতু অনেক দিন ধরে পরিকল্পনা করে শেষ টেস্ট খেলতে নামবেন সচিন, তাই আবেগ তাঁকে কাবু করতে পারবে বলে মনে করেন না সৌরভ।
তাঁর শেষ টেস্ট যে সচিন নিজের ইচ্ছামতো ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতেই খেলতে পারবেন, তা জেনে খুশি সৌরভ বলেন, “এটাই তো হওয়া উচিত ছিল। আমি তো বরাবরই এ কথা বলে আসছি। মুম্বই ওর শহর। নিজের শহরেই জীবনের শেষ টেস্ট খেলবে সচিন, এটাই তো সবচেয়ে ভাল ব্যাপার।” বন্ধু সচিনকে খুব কাছ থেকে দেখা সতীর্থ এ দিন শোনান কিংবদন্তি সম্পর্কে নানা অজানা কথা। ১৯৯২-এ অস্ট্রেলিয়া সফরে যখন সৌরভ ছিলেন সচিনের রুমমেট, তখনকার স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বলেন, “সিডনিতে টেস্ট শুরুর আগের রাতে ও ঘুমোতেই পারেনি। উত্তেজনায় সারা রাত ঘরে পায়চারি করেছিল। সেই টেস্টে সচিন সেঞ্চুরি (১৪৮ অপরাজিত) করেছিল। সচিন এ রকমই। তখন আমাদের রুম শেয়ার করতে হত। তারপর থেকে অবশ্য রুম শেয়ার করার প্রথাটা চলে যায়। তাই এমন অভিজ্ঞতা আর হয়নি।”
২০০৩ বিশ্বকাপে সচিনকে দেখার অভিজ্ঞতা আরও অবাক করার মতো। সৌরভ বলেন, “সারা বিশ্বকাপে এক দিনও নেটে ব্যাট করেনি। অথচ সারা টুর্নামেন্টে ৬০০-র ওপর (৬৭৩) রান করল। সচিন এ রকমই।”
|