|
|
|
|
বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে জিতলেন দর্শনার্থীরাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কাশফুলের দোলায় আগমনীর সুর ভাসছিল। তারই মাঝে মৌসম ভবন জানাল বৃষ্টির বার্তা। ষষ্ঠী, সপ্তমী কোনওরকমে কাটলেও অষ্টমীতে ধেয়ে এল বৃষ্টি। তবে, সেই বাধা উজিয়ে জয়ী হল ছাতা মাথায় প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড় করা মানুষই।
মহাষ্টমীর রাত থেকেই বৃষ্টি নেমেছিল মেদিনীপুর-খড়্গপুরে। নাগাড়ে চলা সেই বৃষ্টি অব্যহত ছিল নবমী, দশমীতেও। কিন্তু, তাকে উপেক্ষা করে উত্সাহী মানুষের ঢল নেমেছিল পুজো মণ্ডপগুলিতে। কেউ ছাতা মাথায়, কেউ বর্ষাতি পড়ে কেউবা ভিজতে ভিজতে বেড়িয়ে পড়েছিলেন প্রতিমা দর্শনে। মেদিনীপুরের অশোকনগরের প্রতিমা দর্শনার্থী সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “ভিজে ভিজে কী ঠাকুর দেখা যায়! পুজোর সময়ে এই বৃষ্টি একেবারেই অসহ্য।”
এ বার আবার বিসর্জনে নিয়ে কড়া নিয়ম জারি করেছে প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, দশমীর দিন সোমবার অথবা তার দু’দিন পরে বৃহস্পতিবার প্রতিমা নিরঞ্জন করতে হবে। মাঝে মুসলিমদের অনুষ্ঠান থাকায় দু’দিন বিসর্জন বন্ধ। অন্য বারের মতো এ বারও দুই শহরের বিসর্জন কাঁসাই নদীতেই সম্পন্ন হয়।
বিসর্জন ঘিরে প্রশাসনের তরফে চূড়ান্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। তবে, টানা বৃষ্টির দরুন বেশির ভাগ বড় বাজেটের পুজো কমিটি প্রতিমা নিরঞ্জন করেনি। কিন্তু, প্রতিমা নিরঞ্জন না করার অন্যতম কারণ হল দশমীর পরও দর্শনার্থীদের ভিড়। উদ্যোক্তাদের কথায়, দশমীর পর থেকে আকাশ পরিস্কার হয়ে যাওয়ায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে অধিকাংশ জায়গাতেই প্যান্ডলের সাজ ক্রমশ খারাপ হয়েছে। তাতেও ভাটা পড়েনি উত্সাহে। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক আর বিমলা বলেন, “বৃষ্টির জন্য দর্শনার্থীদের অসুবিধা হয়েছে ঠিকই, তবে পুজোতে কোনও সমস্যা হয়নি।” |
|
|
|
|
|