এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা (ওপিসিডব্লিউ)-কে না দিয়ে দেওয়া উচিত ছিল সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে! ঠাট্টার ছলে এই দাবি করেছেন আসাদ নিজেই।
সিরিয়ায় আসাদের রাসায়নিক অস্ত্র ভাণ্ডার নির্মূল করার কাজে হাত লাগিয়েছে ওপিসিডব্লিউ। এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদারের তালিকায় মালালা ইউসুফজাইয়ের মতো সাহসিনীর নাম থাকলেও শেষ পর্যন্ত বেছে নেওয়া হয় ওপিসিডব্লিউ-কেই। রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং ওপিসিডব্লিউ-এর ৬০ জন বিশেষজ্ঞ দামাস্কাসে পৌঁছে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ১ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষ। আর গত অগস্টে শুধু দামাস্কাসেই রাসায়নিক অস্ত্র হানায় নিহত হন ১২০০ মানুষ। এই হত্যার অভিযোগ ওঠে আসাদ সরকারেরই বিরুদ্ধে। যা থেকে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র বিতর্কের জল গড়ায় বহু দূর। শেষমেশ অবশ্য যুদ্ধ এড়িয়ে রাসায়নিক অস্ত্র সমর্পণের প্রস্তাবে রাজি হন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট। আর তাই নিজের কৃতিত্বে তৃপ্ত আসাদ ব্যঙ্গের ছলে হলেও বলে ফেলেন “নোবেল শান্তি পুরস্কার আমারই পাওয়া উচিত!”
রাসায়নিক অস্ত্র নির্মূলের কাজ চললেও সিরিয়া এখনও অশান্তই। দেশের বিভিন্ন অংশে বিস্ফোরণ, অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে দামাস্কাসের উমায়াদ স্কোয়ারে। সিরিয়ার সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, সেখানে সরকারি টিভি চ্যানেলের অফিসের কাছেই বড় দু’টি গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটে। এই অফিসের কয়েক মাইল দূরেই একটি হোটেলে রয়েছেন ওপিসিডব্লিউয়ের বিশেষজ্ঞরা। সেই সময়েই ওই অফিসে খবর পড়ছিলেন এক জন। প্রথম বিস্ফোরণের পরেই কেঁপে ওঠে গোটা চত্বর। তখনও নিজের কাজ ছেড়ে ওঠেননি সংবাদ পাঠক। দ্বিতীয় বিস্ফোরণের পরেও তিনি চেষ্টা করছিলেন কাজ চালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে আসার নির্দেশ পেয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত চেয়ার ছাড়েন। জঙ্গিরা আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে বলে দাবি। এর আগেও সরকারি টিভি এবং রেডিও অফিসে হানা দিয়েছে জঙ্গিরা। |