|
|
|
|
বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে খুন
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
ছুরি দেখিয়ে পরিবারের সদস্যদের সামনেই বাড়ির বাইরে টেনে বের করে এক কলেজ ছাত্রকে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁর বন্ধুদের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে বীরভূমের নলহাটি থানার কাঁটাগড়িয়া গ্রামের ঘটনা। পুলিশ
|
জিয়ার মণ্ডল |
জানিয়েছে, নিহত জিয়ার মণ্ডল (২৭) নলহাটি হিরালাল ভকত কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
বৃহস্পতিবার নিহতের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সিকন্দর আলি নামে জিয়ারের এক বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে। একই ঘটনায় ওই ছাত্রের আর এক বন্ধু সাফিউর রহমান-সহ পাঁচ অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের খোঁজ করছে পুলিশ। এসডিপিও (রামপুরহাট) কোটেশ্বর রাও বলেন, “ধৃতকে জেরা করে অন্যদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।” খুনের কারণ অবশ্য পুলিশ বা জিয়ারের পরিবারের কাছে স্পষ্ট নয়।
সাত ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম। বছর কয়েক আগে তাঁর বিয়ে হয়। দু’বছরের একটি ছেলেও আছে। বছর তিনেক আগে বাবার মৃত্যুর পর থেকে জিয়ার বাবার সাইকেল গ্যারাজের দেখভাল করতেন। তাই নিয়মিত কলেজে যেতেন না। তাঁর মা আয়েষা বলেন, “বুধবার রাতে ছেলে ধাবা থেকে খাওয়াদাওয়া করে বাড়ি ফিরেছিল। কিছু ক্ষণ পরেই সদর দরজায় জোরে ধাক্কা।” পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে আয়েষা জানিয়েছেন, দরজা খুলতেই সাফিউর আর সিকন্দর ছুরি হাতে দোতলায় উঠে পড়ে। সঙ্গে আরও পাঁচ জন ছিল। ওরা জিয়ারকে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে যায়। বাড়ির অদূরেই রাস্তার ধারে ওই যুবকেরা ছুরি দিয়ে জিয়ারের মাথায় বারবার কোপ মারে।
এ দিন সকালে হাসপাতাল চত্বরে নিহতের ভাই নয়ন মণ্ডল, দিদি আরিয়া বিবি বলেন, “ওরা ভাইকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংস ভাবে খুন করে চলে গেল।”
জিয়ারের বন্ধু সুখচাঁদ শেখ বলেন, “বুধবার রাতে স্থানীয় একটি ধাবায় একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। সাফিউররা কেন এমন করল, বুঝতে পারছি না।” |
|
|
|
|
|