পুজোয় ইভটিজিং ঠেকাতে পথে নামল সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশ বাহিনী। বৃহস্পতিবার ষষ্ঠীর বিকাল ৫টা থেকেই তাঁরা মুর্শিদাবাদের জেলাসদর বহরমপুর ছাড়াও লালবাগ, রঘুনাথগঞ্জ, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ, বেলডাঙা ও ধুলিয়ানের মতো শহরের পথে নেমেছেন। মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “সাদা পোশাকের ওই মহিলা পুলিশ রয়েছেন ৩০০ জন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই সদ্য পুলিশের চাকরিতে ঢুকেছেন। ফলে বয়সে তরুণী। তাঁরা পথে ও পুজো মণ্ডপে ঘুরবেন। রোমিওরা তাঁদের টার্গেট করতে পারেন। আর তখনই কলার ধরে সেই সব রোমিওকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে পুলিশ লকআপে।”
ওই মহিলা পুলিশদের অনেকেই স্কুটিতে করে ঘুরবেন। চালচলন হাবভাবেও তাঁরা যেন পুজো দেখতেই সেজেগুজে বেরিয়েছেন। তাই ছিনতাইবাজেরাও তাঁদের আক্রমণ করতে পারে। পুলিশ সুপার বলেন, “এই ভাবে ছিনতাইকারীদের পাকড়াও করা যাবে।” |
বহরমপুর শহরে পুরসভার অনুমোদিত বারোয়ারি পুজোর সংখ্যা ১৭৩টি। তা ছাড়াও রয়েছে পারিবারিক ও মন্দিরের পুজো মিলিয়ে আরও শ’দেড়ক। ফলে পুজোর ৪ দিন বহরমপুরে মানুষের ঢল নামে। কয়েক বছর ধরে গ্রামাঞ্চল থেকে পুজো দেখতে আসা জনতারও ঢল নামে বহরমপুর শহরের পথে ও মণ্ডপে। ছিনতাই ও ইভটিজিং-এর শিকার তাঁরাই বেশি হন। জনতার সেই ঢল সামলাতে ও ইভটিজারদের মোক্ষম জবাব দিতে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ বহরমপুর শহরের উপর বাড়তি নজর দিয়েছে। এ বার জেলায় বারোয়ারি পুজোর সংখ্যা প্রায় ২০০০। আর উল্লেখযোগ্য পারিবারিক পুজোর সংখ্যাও প্রায় ৪০০। তার অনেকগুলিতে আবার বারোয়ারি পুজোর মতোই ভিড় হয়। যেমন কাশিমাবাজার ছোট রাজবাড়ির পুজো। পুজোর ক’দিন ওই রাজবাড়িতে সবার অবারিত দ্বার। ফলে সেখানেও বেশ ভিড় জমে। ফলে অবস্থা সামাল দিতে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে নামানো হয়েছে ৭০০০ সিভিক পুলিশ এবং জেলা পুলিশের ২০০০ জনের বাহিনী। পুলিশ সুপার বলেন, “থানায় খুব কম সংখ্যক পুলিশ রেখে পুলিশ বাহিনী ও সিভিক পুলিশ পুজোর ক’দিন রাস্তাতেই থাকবে।”
বিকাল ৫টা থেকে রাত দু’টো পর্যন্ত টহলদারির পর রাত তিনটেয় বসবে পুলিশের পুনর্মূল্যায়ন মিটিং। পরের দিন আরও ভাল পুলিশি পরিষেবা দেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে দোষ-ত্রুটি, গাফিলতি-সহ সব কিছু সেই মিটিং-এ পর্যালোচনা করা হবে। |