রায়েই থমকে গেল সিএসসি-র
নিয়োগ প্রক্রিয়া, প্রার্থীরা হতাশ
তিন বছর বন্ধ থাকার পরে কলেজের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা বাছাই শুরু করেছিল কলেজ সার্ভিস কমিশন (সিএসসি)। নির্বাচিত প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল আজ, বুধবার থেকেই। কিন্তু মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া একটি রায়ে স্থগিত হয়ে গেল সেই প্রক্রিয়া।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, যাঁদের পিএইচডি ডিগ্রি আছে, অথচ সেটা ২০০৯ সালে প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর নতুন পিএইচডি-বিধি মেনে নেওয়া হয়নি, তাঁদেরও নেট বা সেট ছাড়াই সরাসরি সিএসসি-র ইন্টারভিউয়ে বসার সুযোগ দিতে হবে। এবং ইন্টারভিউয়ে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা সিল করা খামে জমা দিতে হবে হাইকোর্টের কাছে।
উচ্চ আদালতের এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কী করবে?
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়ে দিয়েছেন, আলোচনা করে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পিএইচডি করার ক্ষেত্রে ইউজিসি-র নয়া নিয়মবিধি ঠিক কী রকম?
২০০৯-এ একটি নির্দেশিকায় ইউজিসি জানায়, পিএইচডি করার আগে ছ’মাসের জন্য কোর্স ওয়ার্ক করতে হবে। তার পরে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। এই পদ্ধতিতে যাঁরা পিএইচডি করবেন, কেবল তাঁরাই নেট বা সেট ছাড়া কলেজ সার্ভিস কমিশনের ইন্টারভিউয়ে বসতে পারবেন। তার আগে এমফিল অথবা পিএইচডি ডিগ্রি থাকলেই ইন্টারভিউয়ে বসা যেত। কোর্স ওয়ার্ক বা প্রবেশিকা পরীক্ষার বাধ্যতা ছিল না। ওই নির্দেশিকা জারি হওয়ার আগে যাঁরা পিএইচডি ডিগ্রি পেয়েছেন বা রেজিস্ট্রেশন করেছেন, ইউজিসি-র এই নিয়মের ফলে তাঁরা সরাসরি ইন্টারভিউয়ে বসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। তাই এই নিয়মের বিরোধিতা করে বিভিন্ন সময়ে মামলা করেন অনেক প্রার্থী।
হাইকোর্ট এ দিন জানিয়েছে, ওই সব প্রার্থীকেও ইন্টারভিউয়ে বসার সুযোগ দিতে হবে। আবেদনকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “কোন সময়ে পিএইচডি করা হয়েছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যখনই পিএইচডি করা হোক না কেন, ডিগ্রিটার গুরুত্ব তো বদলায় না।”
কলেজ সার্ভিস কমিশন মারফত শিক্ষক বাছাই এবং বিভিন্ন কলেজে সেই সব প্রার্থীকে শেষ বার নিয়োগ করা হয়েছিল ২০১০-এ। তার পরে গত বছর ২৮ ডিসেম্বর কলেজ শিক্ষক বাছাইয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দেয় কলেজ সার্ভিস কমিশন। ইন্টারভিউ শুরু হয় জুনে। বছর তিনেক বাদে, আজ, বুধবার থেকে বাছাই করা প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল।
আজ সমাজতত্ত্ব, মনস্তত্ত্ব, রাশিবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ের তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল বলে কমিশন সূত্রের খবর। কিন্তু আপাতত সেই প্রক্রিয়া থমকে গেল। ফলে নেট-সেট পাশ করা প্রার্থীরা, যাঁরা ইন্টারভিউ দিয়ে ফলপ্রকাশের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তাঁদের অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হল। দক্ষিণ কলকাতার একটি কলেজে আংশিক সময়ের শিক্ষকতা করেন, এমন এক প্রার্থীর গলায় সেই হতাশা। তিনি বলেন, “অনেক আশা নিয়ে ইন্টারভিউ দিয়েছি। সেটা ভালও হয়েছে। এখন ফলপ্রকাশ থমকে যাওয়ার খবরে আশাহত লাগছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নিয়মে সাধারণ প্রার্থীদের নাজেহাল হতে হয়।”
কী করবে সিএসসি?
কমিশন-কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁদের আইনজীবী মঙ্গলবার আদালতে ছিলেন না। তাই রায়ে ঠিক কী বলা হয়েছে, সেই ব্যাপারে নির্দিষ্ট তথ্য তাঁদের কাছে নেই। সেই তথ্য পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.