কলেজ-হস্টেলে ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পথ অবরোধ করলেন কিছু গ্রামবাসী। তার জেরে মঙ্গলবার দুর্ভোগে পড়লেন নিত্যযাত্রীরা।
পাত্রসায়রের রসুলপুরে একটি বেসরকারি ডি.এড কলেজের হস্টেল থেকে সোমবার সকালে উদ্ধার হয় স্থানীয় বাজিতপুরের বাসিন্দা, আব্বাসউদ্দিন মল্লিক (১৮) নামে এক আবাসিক ছাত্রের দেহ। ওই ঘটনার পরে কলেজে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। কলেজের অধ্যক্ষকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় গাফিলতির অভিযোগও দায়ের করে মৃত ছাত্রের পরিবার। ওই মৃত্যুর ঘটনার জেরেই মঙ্গলবার মঙ্গলবার বাঁকুড়া-বর্ধমান রাস্তায় পাত্রসায়রের ধগড়িয়া মোড়ে অবরোধ করে কিছু লোক। জায়গাটি রসুলপুর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে। সকাল আটটা থেকে টানা চার ঘণ্টা অবরোধে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন বাসযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ।
পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। যদিও অবরোধ তুলতে পুলিশ দেরি করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশকুমার অবশ্য বলেন, “ওই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু হয়েছে। তার পরেও এলাকার কিছু মানুষের উস্কানিতে এ দিন ধগড়িয়া মোড়ে অবরোধ হয়েছিল। পুজোর আগে অশান্তি এড়ানোর লক্ষ্যে বুঝিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা হয়েছে। পুলিশই অবরোধ তুলেছে।”
অবরোধে আটকে পড়া বাসযাত্রী বর্ধমানের অসীম দত্ত, যতীন মল্লিকদের ক্ষোভ, “এই ভাবে অবরোধ করে কার লাভ হচ্ছে? আখেরে ক্ষতি হচ্ছে আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরই।” যদিও মৃত ছাত্রের পরিবারের দাবি, আব্বাসউদ্দিনের অকাল মৃত্যুতে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে স্থানীয়রাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তা অবরোধে সামিল হয়েছিলেন। আব্বাসউদ্দিনের দেহের ময়না-তদন্ত হয়েছে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে। তাঁর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
|