লাজংয়ের কর্নেল গ্লেন। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর বিশ্বকাপার। |
আসলে এএফসি কাপের পর এ বার আই লিগেও ট্রেভর মর্গ্যানকে টপকে যেতে চাইছেন চিডিদের নতুন কোচ। ফালোপার কথাতেও যেন সে রকম ইঙ্গিত। বললেন, “আমি শুনেছি, ইস্টবেঙ্গল গত কয়েক বছর ধরে আই লিগে ভাল ফল করলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারছে না। আমি যে লক্ষ্য নিয়ে এখানে কোচিং করতে এসেছি তার মধ্যে আই লিগ আছে। সে জন্য প্রথম ম্যাচেই জয় দিয়ে শুরু করতে চাই।” এর সঙ্গেই অবশ্য যোগ করেছেন, “লাজং টিমটা কিন্তু শক্তিশালী। শুধু গ্লেন নয়, জাপানি তাইসুকে-ও বেশ ভাল। লড়াইটা সহজ হবে না।”
তবে ফালোপার জন্য সুখবর, তাইসুকের চোট রয়েছে। গোয়ায় স্পোর্টিং ক্লুবের বিরুদ্ধে চোট পান লাজংয়ের এই মিডিও। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে তিনি অনিশ্চিত। বুধবার সকালে তাইসুকের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কোচ থাঙ্গবৈ সিংতো। এ দিন অনুশীলনের পর তিনি বলে দিয়েছেন, “তাইসুকে খেলতে না পারলে আমাদের সমস্যা হবে। কাল সকালে ওর চোট কীরকম আছে দেখি। তার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। ইস্টবেঙ্গল কঠিন প্রতিপক্ষ। তবে আমরা ঘরের মাঠে হারতে চাই না।”
কলকাতার বাকি তিন দল ইতিমধ্যেই আই লিগে দু’তিনটি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। কিন্তু এএফসি কাপে ব্যস্ত থাকার জন্য বুধবারই আই লিগ অভিযান শুরু করতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে। তবে আই লিগে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে নামার আগেই মেহতাব-সহ পাঁচ ফুটবলারকে বিশ্রামে পাঠানো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এ দিন ফালোপা অবশ্য বললেন, “আমার ফুটবলাররা এএফসি কাপের ধকলে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তাই প্রথম একাদশের কিছু ফুটবলারকে বিশ্রাম দিয়েছি। তার পরিবর্তে অন্যদের নিয়ে এসেছি যাতে আই লিগ আর এএফসি কাপে আমি ব্যালান্স করতে পারি।”
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, লাল-হলুদের সঙ্গে যুদ্ধে শিলং লাজং-ই এগিয়ে আছে। ছ’বারের মধ্যে তিন বার জিতেছে পাহাড়ের দল। ইস্টবেঙ্গল জিতেছে দু’বার। ড্র একবার। এখন দেখার ফালোপার কোচিংয়ে চিডি-মোগারা ২-৩ ফল ৩-৩ করতে পারেন কি না। |
বুধবারে আই লিগ
ইস্টবেঙ্গল: লাজং এফসি (শিলং, ৩-৩০),
ইউনাইটেড স্পোর্টস: মুম্বই এফসি (পুণে, ৭-০০),
সালগাওকর: ডেম্পো (দুলের, ৪-০০)। |