শিলংয়ে আই লিগের প্রথম ম্যাচ খেলতে গিয়েও এএফসি কাপের কথা মাথায় ঘুরছে মার্কোস ফালোপার।
লাজং এফসি ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগে চিডিদের কুয়েত এসসি-র বিরুদ্ধে খেলে আসা ম্যাচ দেখালেন। ফালোপার যুক্তি, “শিলং কঠিন টিম। এএফসি কাপের প্রথম সেমিফাইনালে যে ভুলগুলো হয়েছে, সেগুলো যাতে আবার না হয়, তাই আগের ম্যাচের ভিডিও দেখালাম।” তবে ক্লাব সূত্রের খবর, বুধবার আই লিগের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামলেও লাল-হলুদ কোচের পাখির চোখ কিন্তু এখনও এএফসি কাপের ফাইনালের দিকেই।
শিলংয়েও বৃষ্টি হচ্ছে। তাপমাত্রা অনেকটাই নীচে নেমে গিয়েছে। তার মধ্যেই অনুশীলন করলেন চিডিরা। মূল স্টেডিয়ামের পাশে একটি কৃত্রিম ঘাসের মাঠে। মেহতাব, অর্ণব, সৌমিক-সহ পাঁচ ফুটবলারকে বাদ দিয়ে লাজংয়ের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কোচ এ দিন অনুশীলনে বুঝতে দেননি কাদের খেলাবেন মেহতাবদের জায়গায়। তবে তাঁর ভাবনায়, মেহতাবের জায়গায় খাবড়া বা সুবোধ কুমার, অর্ণবের জায়গায় গুরবিন্দর, সৌমিকের জায়গায় রবার্ট, নওবার জায়গায় অভিষেক দাস রয়েছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ফালোপা নেবেন আজ মঙ্গলবার প্র্যাকটিসের পর।
ইস্টবেঙ্গল উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে নামলেও, শিলং ইতিমধ্যেই তিনটি ম্যাচ খেলে একটিতে জিতেছে। একটি ড্র। অন্যটি হেরেছে। শিলংয়ের মাঠে সব সময়ই খেলা কঠিন। একে মাঠ ভর্তি সমর্থক লাজংয়ের সমর্থনে চিৎকার করেন। উচ্চতা-ও সমস্যা। সোমবার রাতে টিম হোটেলে ফালোপাকে ধরা হলে তিনি বললেন, “শিলংয়ে উচ্চতা একটা সমস্যা। এর সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে খেলতে হবে। আসলে একটু বেশি অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। সে জন্য সব ফুটবলারকে ফিট থাকতে হবে।”
রবিবার শিলং পৌঁছতে যথেষ্ট হ্যাপা পোহাতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। তবু এর ফাঁকেই লাজংয়ের খোঁজখবর নিয়েছেন ব্রাজিলীয় কোচ। বললেন, “শিলং শক্তিশালী দল। ওরা খুব দৌড়ায়। ওদের বিদেশিরাও শুনেছি বেশ ভাল। তবে প্রথম ম্যাচ থেকে আমরাও তিন পয়েন্ট নিয়েই ফিরতে চাই।”
মহমেডানকে জরিমানা: পুণে এফসি-র সঙ্গে কলকাতার ম্যাচে মাঠে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা না রাখায় মহমেডানকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করল ফেডারেশন। দ্বিতীয় অ্যাম্বুল্যান্স না থাকায় ম্যাচ শুরু হয় প্রায় আধ ঘণ্টা দেরিতে। একই কারণে লাজং এফসি-কেও দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে রবিবার বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচের সময় ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন এলকো। রেফারি তাঁকে লাল-কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে বার করে দেন। তাঁরও কি জরিমানা হচ্ছে? আইলিগের সিইও সুনন্দ ধর দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, “রেফারির রিপোর্ট পাওয়ার পরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।”
|