খোলা রইল দোকানপাট। রাস্তায় বেরোলেন মানুষজন। চলল যানবাহনও। নেতা খুনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সিপিএমের ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে কার্যত সাড়া দিলেন না দাঁইহাট শহর ও কাটোয়া ২ ব্লকের নানা এলাকার মানুষজন।
এ দিন পুলিশ সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য তপন কোনার-সহ ১৮ জন বনধ সমর্থককে আটক করে। সন্ধ্যার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, “পুলিশ খুনে অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। অথচ, বনধ রোখার জন্য আমাদের নেতা-কর্মীদের ধরতে তৎপর হয়ে উঠল!” |
খোলা বাজার। —নিজস্ব চিত্র। |
রবিবার সন্ধ্যায় সাইকেলে বাড়ি ফেরার কাটোয়ার দেয়াসিন গ্রামে পথে কুপিয়ে খুন করা হয় সিপিএমের জোনাল সদস্য তথা কৃষকসভার ব্লক সম্পাদক কার্তিক মণ্ডলকে। সোমবার নিহতের ছেলে কিংশুক মণ্ডল কাটোয়া থানায় দশ জন তৃণমূল সমর্থকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন। যদিও দায়ের করা অভিযোগে খুনের পিছনে রাজনীতির কোনও কথা তিনি উল্লেখ করেননি।
খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন দাঁইহাট শহর ও কাটোয়া ২ ব্লক এলাকায় বনধ ডেকেছিল সিপিএম। সোমবার সন্ধ্যায় এলাকায় প্রচারও চালায় তারা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিপিএম প্রচার চালানোর পরপরই দাঁইহাট ব্যবসায়ী সমিতি বন্ধের বিরোধিতা করে প্রচার চালায়। দাঁইহাট ব্যবসায়ী সমিতির তরফে জানানো হয়, খুনের ঘটনার প্রতিবাদ তারাও করেছে। কিন্তু পুজোর মুখে ব্যবসা বন্ধ রাখা সম্ভব নয় বলেই বন্ধের বিরোধিতা করা হয়েছে।
শুধু দাঁইহাট নয়, গড়াগাছা-সহ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলিও এ দিন খোলা ছিল। সিপিএমের কাটোয়া জোনাল সম্পাদক অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, “তৃণমূলের নির্দেশে পুলিশ রাস্তায় নেমে বনধ তোলার জন্য চাপ দেয়। তা সত্ত্বেও আমাদের ধর্মঘট সফল।” তৃণমূলের কাটোয়া ২ ব্লক সভাপতি সুব্রত মজুমদারের বক্তব্য, “গায়ের জোরে পুজোর মুখে বনধ করার চেষ্টা করেছিল সিপিএম। মানুষ অবশ্য তাতে সাড়া দেননি।”
|