হিলকার্ট রোড থেকে রক্তাক্ত ও অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হওয়া কিশোরীর পরিচয় মিলেছে। শিলিগুড়ি লাগোয়া এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের ওই কিশোরীটি বোবা। কানে কিছুটা শুনতে পায়। সোমবার ওই কিশোরীর বাবা -মা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে যান। পুলিশের সামনেই কিশোরীটি তার উপরে ২ জন অত্যাচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে ফের আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তাঁর মায়ের অভিযোগ, তিনি ও তাঁর স্বামী দিনমজুরি করেন। শনিবার বিকেলে বাড়িতে মেয়েকে একা রেখে কাজে গিয়েছিলেন। রাত ১২টা নাগাদ কিশোরীকে রক্তাক্ত ও অচৈতন্য অবস্থায় হিলকার্ট রোডে পড়ে থাকতে দেখে পথচারীরা পুলিশে খবর দেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, কিশোরীর গোপনাঙ্গে ক্ষত রয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণের পরে সে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এ দিন কিশোরীকে দেখতে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “আমি কিশোরীকে দেখতে গিয়েছিলাম। দুঃখজনক ঘটনা। পুলিশ তদন্ত করছে। তাঁদের উপরে আমার আস্থা আছে।” তবে কিশোরী উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা পরেও পুলিশ তার উপরে অত্যাচারের ব্যাপারে মামলা দায়ের করেনি কেন তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন বলেন, “ঠিক কী ভাবে কী হয়েছে তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। সব দিক দেখে পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করবে।” ওই কিশোরীকে নির্যাতনে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবিতে অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। সংগঠনের জেলা নেত্রী স্নিগ্ধা হাজরা বলেন, “সামনে পুজো, প্রচুর মহিলা রাস্তায় বেরোবেন। নিরাপত্তা আরও জোরদার করার দাবি জানিয়েছি। দ্রুত অপরাধী গ্রেফতার না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।” কিশোরীকে দেখতে এ দিন মেডিকেলে যান জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অশোক ভট্টাচার্য ও সিপিএম ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার। তাঁরা ওই কিশোরীর চিকিৎসার ব্যপারে খোঁজ নেন। অশোকবাবু বলেন, “শিলিগুড়িতে এ ধরনের ঘটনা কখনও ঘটেনি। শহরের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।” |