মহকুমা পরিষদ দখল তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ দখল করল তৃণমূল। সাত সদস্যের মহকুমা পরিষদে সিপিএমের সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল তৃণমূল। তাই নিয়ে তলবি সভা ছিল সোমবার। সেখানে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে সায় দিয়েছেন তৃণমূলের তিন ও সিপিএমের এক সদস্যও। জ্যোতি তিরকে নামে ওই সিপিএম সদস্যা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি। সভাধিপতি সহ বাকি তিন সিপিএম সদস্য এই দিন সভায় ছিলেন না। |
|
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে অনাস্থার পর সিপিএম নেত্রী মহকুমা পরিষদ
সহ-সভাধিপতি জ্যোতি তিরকির সঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলর কৃষ্ণ পাল।—নিজস্ব চিত্র। |
মহকুমা পরিষদের মেয়াদ আর সাত মাস। চার বছর আগে পরিষদের নির্বাচনের সময়ে তৃণমূল সব ক’টি আসনেই পরাজিত হয়। সে বার ৪টি আসনে জিতে বামেরা পরিষদ দখল করে। কংগ্রেস ৩ আসন পায়। রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পরে তৃণমূলের তরফে পরিষদে কর্তৃত্ব কায়েমের তৎপরতা শুরু হয়। সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে পরিষদের ৩ সদস্য আইনুল হক, প্রেরণা সিংহ এবং অঞ্জলিকা কুজুর তৃণমূলে যোগ দেন। ১৮ সেপ্টেম্বর ওই তিন সদস্য সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা পেশ করেন।
মহকুমা পরিষদের অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিক জংবাহাদুর সুব্বা বলেন, “তলবি সভার রিপোর্ট জলপাইগুড়ি বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠানো হবে।” প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বিভাগীয় কমিশনারই নতুন সভাধিপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন। সিপিএম সূত্রে খবর, জ্যোতিদেবীকে সাসপেন্ড করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাঁর অবশ্য বক্তব্য, “তলবি সভায় অনুপস্থিত থাকার নির্দেশ সম্বলিত কোনও চিঠিও পাইনি। আমি সিপিএমেই রয়েছি।”
তবে প্রাক্তন পুরমন্ত্রী সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “অন্য দলের সদস্যদের নানা কৌশলে দলে টেনে ঘুর পথে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা কখনও সুস্থ রাজনীতির পরিচয় নয়।” কংগ্রেস নেতা শঙ্কর মালাকারও বলেন, “খিড়কি দিয়ে ক্ষমতা দখলের বিষয়টি শিলিগুড়ির গ্রামাঞ্চলের মানুষ ভাল চোখে দেখবেন না।” তৃণমূলের মন্ত্রী গৌতম দেব জানান, পরিষদের দখল সিপিএমের থাকলেও পঞ্চায়েত সমিতি ও ২ বিধায়ক থাকার সুবাদে কংগ্রেসের পক্ষে কর্মাধ্যক্ষ পদ দখলের সুযোগ ছিল। গৌতমবাবুর যুক্তি, “কংগ্রেসের ৩ পরিষদ সদস্য চাইলেও দলের নেতারা সিপিএমের বিরুদ্ধে যাননি। শিলিগুড়ি পুরসভায় কংগ্রেসকে সমর্থনের প্রতিদানে পরিষদে কর্মাধ্যক্ষ পদে কংগ্রেসের কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেয়নি দল। শিলিগুড়িতে পুরসভা ও পরিষদে বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস। সেই জোট পরিষদে অন্তত ভাঙলেন জনপ্রতিনিধিরা। শিলিগুড়িবাসীর পক্ষে এটা গর্বের ব্যাপার।” |
পুরনো খবর: তৃণমূলের অনাস্থা বেআইনি, নালিশ অশোকের |
|