|
|
|
|
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ |
তৃণমূলের অনাস্থা বেআইনি, নালিশ অশোকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বামফ্রন্ট পরিচালিত মহকুমা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তা নিয়ে আগামী ৭ অক্টোবর প্রশাসনের তরফে সভা ডাকা হয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনাস্থার নিয়ে প্রশাসনকে চিঠি দেন পরিষদের বিরোধী দলনেতা তথ্য সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া আইনুল হক। অনাস্থার বিষয়টি বেআইনি বলে অভিযোগ করলেন জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য।
অশোকবাবুর অভিযোগ, “যাঁরা মহকুমা পরিষদে অনাস্থা আনতে চলেছেন তাঁরা দলত্যাগ করে অন্য দলে গিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে। দলের তরফে আমাদের সদস্যরা যাতে সভায় না যান তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” সিপিএমের অভিযোগ, আগামী বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে লক্ষ্য করে তৃণমূল অন্য দল ভাঙিয়ে নিজেদের সংগঠন বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করছে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
পরিষদ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে মহকুমা পরিষদের কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আইনুল হক-সহ ৩ সদস্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সম্প্রতি মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতি ও ফাঁসিদেওয়া পঞ্চায়েত সমিতির অধিকাংশ সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেছেন। দু’টি পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। অশোকবাবু বলেন, “এইভাবে পদ নিয়ে অন্য দলে যাওয়াটা রাজনৈতিক দ্বিচারিতা।” কংগ্রেস সূত্রের খবর, মামলা করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কংগ্রেসও। তবে এখনই দলের তরফে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
মহকুমা পরিষদে মোট ৭ টি আসন। তাঁদের মধ্যে ৪ জন সিপিএমের ও বিরোধী ৩ জন কংগ্রেস ছেড়ে সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পরিষদের বিরোধী দলনেতা আইনুল হক বলেন, “সভাধিপতি পুরোপুরি ব্যর্থ। উনি উন্নয়নের কোনও কাজ করতে পারছেন না। তাই অনাস্থা এনেছি। আশা করছি, জিতব।” তৃণমূল সূত্রের খবর, বামেদের প্রতিনিধিদের থেকে একজনকে নিজেদের পাশে পেতে চেষ্টা শুরু করেছে দলের একাংশ নেতা। সেখানে ৪-৩ সংখ্যা গরিষ্ঠতার জেরে তৃণমূলের অনাস্থায় জেতার সুযোগ তৈরি হতে পারে। এই প্রসঙ্গে সিপিএমের দার্জিলিং জেলার কার্যকরী সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, “আমরা শুনতে পাচ্ছি, আমাদের একজনের সমর্থন নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের ৪ জনকে সভায় যেতে না করে দিয়েছি।” |
|
|
|
|
|