দিল্লিতে লক্ষ লোকের সমাবেশ করবে মোর্চা
রাজ্য সরকারের সঙ্গে আপাতত সংঘাত এড়ানোর রাস্তাতেই হাঁটতে চায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সোমবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কার্শিয়াঙের মোটর স্ট্যান্ডে এক জনসভায় খোদ মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ বলেছেন, “পাহাড়ে শান্তি বজায় রেখেই আমরা গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাব। ডিসেম্বরে দিল্লিতে গিয়ে সমাবেশ করব। সেখানে পাহাড়ের অন্তত ১ লক্ষ মানুষ যোগ দেবেন।” মোর্চা সভাপতির যুক্তি, “সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগে দিল্লিতে গিয়ে চাপ তৈরি করা দরকার।”
মোর্চার প্রতিষ্ঠা দিবসে কার্শিয়াঙের জনসভায় বিমল গুরুঙ্গ। ছবি: রবিন রাই।
সেই সঙ্গেই, এত দিন রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা নয় বলে তিনি যে হুমকি দিচ্ছিলেন, সেই অবস্থান থেকেও সরেছেন গুরুঙ্গ। তাঁর কথায়, “ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়া জরুরি। আশা করি অক্টোবরেই তা হবে। নানা মহল থেকে রাজ্য তাতে রাজি নয় বলে শুনছি। প্রয়োজনে আমাদের তিন বিধায়ক গিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে। আলোচনায় সব সমস্যাই মেটে।” জিটিএ ছাড়ার কথা যে তাঁরা এখন আর ভাবছেন না সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন মোর্চা সভাপতি।
ঘটনাচক্রে, ওই মোটর স্ট্যান্ডে রবিবার তৃণমূল নেতা মুকুল রায় জনসভা করেন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ওই সভায় ভিড় উপচে পড়ে। সেখানে মোর্চার অস্থায়ী কর্মচারী সংগঠনের একাংশ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণাও করেন। এদিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো বারেবারেই বলছেন, শুভবুদ্ধি নিয়ে সকলকে চলতে হবে। অশান্তির রাস্তা ছেড়ে আলোচনার মাধ্যমে পাহাড়ের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে। হুটহাট পাহাড় অচল করার রাস্তা পুরোপুরি ছাড়তে হবে।”
মোর্চার অন্দরের খবর, কার্শিয়াঙের সভায় ভিড়ের কথা জানার পরেই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা আলোচনায় বসেন। সেখানে কেন্দ্রীয় কমিটির সিংহভাগ নেতার মনোভাব বুঝে গুরুঙ্গও কৌশল বদলানোর পক্ষে মত দেন। তখনই ঠিক হয়, একই জায়গায় সভা করে শক্তি প্রদর্শন করা হলেও রাজ্য সরকার কিংবা তৃণমূলের সঙ্গে আপাতত কোনও সংঘাতে যাবে না মোর্চা।
কিন্তু কার্শিয়াঙে সমাবেশে আগের মতো ভিড় ও উন্মাদনা না দেখে মোর্চা নেতারা অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। গুরুঙ্গও বলেন, “এখানে কার্শিয়াঙের শাখা কমিটির অনেককেই দেখছি না। অনেকের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এটা ভাল নয়। সকলে মিলে এগোলে লক্ষ্যপূরণ হবে।”
দলের নেতা-কর্মীরা সিআরপি, পুলিশের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকছেন কি না, সেই প্রসঙ্গে মোর্চা সভাপতি বলেন, “সিআরপি আছে। পুলিশ আছে। তাতে ভয়ের কিছু নেই। আন্দোলন করতে গিয়ে কেউ কোনও বেআইনি পদক্ষেপ করবেন না। তা হলে পুলিশ, সিআরপি কিছু করতে পারবে না।”

পুরনো খবর:





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.