গতকালের পরে আজও। সারদা কাণ্ডে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে এ বার দিল্লিতে সরব হল সিপিএম।
গত সপ্তাহ থেকেই চিটফান্ড কাণ্ডে প্রতারিত আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। গত কাল সেই সিদ্ধান্তের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা অসীম দাশগুপ্ত। আর আজ সারদা কাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে দিল্লিতে সরব হলেন সিপিএম নেতৃত্ব। আজ দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা একটি চিঠিতে অবিলম্বে সারদা কাণ্ডের দুর্নীতির সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্ত শুরু করার দাবি জানানো হয়েছে। শুধু তদন্তই নয়, আমানতকারীদের অর্থ ফেরাতে অবিলম্বে সমস্ত ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আজ কেন্দ্রীয় কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রী শচীন পায়লটের কাছে অনুরোধ জানান সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, সূর্যকান্ত মিশ্রেরা। দলের অভিযোগ, রাজ্য সরকার চোখ বুজে থাকায় ইতিমধ্যেই লগ্নিকারী সংস্থাগুলি নিজেদের সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়া শুরু করেছে। এখনই এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করা না হলে ক্ষতিগ্রস্তদের যথার্থ ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলেও দাবি সিপিএম নেতাদের।
সারদা কাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে ইতিমধ্যেই পাঁচশো কোটি টাকার তহবিল গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। পুজোর আগে শুরু হয়ে গিয়েছ চেক বিলিও। যার আইনি বৈধতা নিয়ে গত কাল প্রশ্ন তুলেছিলেন অসীমবাবু। আর আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে করা অভিযোগে সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করা ওই তদন্তে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। তাই সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি সীতারাম ইয়েচুরিদের অভিযোগ, রাজ্যের ২৪টি লগ্নিকারী সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ থেকে কমপক্ষে এক লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তহবিল বানিয়েছে মাত্র ৫০০ কোটির। ফলে সব মানুষকে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়, তা বোঝাই যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে একমাত্র লগ্নিকারী সংস্থাগুলির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা গেলেই তবেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব হত। কিন্তু সরকার তা করেনি। এই সুযোগে সংস্থাগুলি নিজেদের সম্পত্তি বিক্রি করা শুরু করে দিয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, রাজ্য সরকার জেনেবুঝে সংস্থাগুলিকে সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়ার সময় দিচ্ছে। কারণ গোটা প্রক্রিয়াটির সঙ্গে তৃণমূলের অনেক নেতাই যুক্ত রয়েছেন।
|