রঞ্জি গ্রুপে দেখা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বাংলা এবং দিল্লি, রঞ্জিতে দু’টো আলাদা গ্রুপে। কিন্তু তাতে কী? রঞ্জির আগেই বীরেন্দ্র সহবাগদের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে লক্ষ্মীরতন শুক্লদের।
হরিয়ানার পর দিল্লির সঙ্গেও রঞ্জির আগে প্র্যাক্টিস ম্যাচের ব্যবস্থা করে ফেললেন বাংলা কোচ অশোক মলহোত্র। হরিয়ানার বিরুদ্ধে তিনটে প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলার পরে। আগামী ১৭-১৮ অক্টোবর দিল্লিতে মুখোমুখি হচ্ছে দু’টো টিম। যেখানে বীরেন্দ্র সহবাগ ও গৌতম গম্ভীরেরও নেমে পড়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণতাঁরা দু’জন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের ওয়ান ডে টিমে নেই। আপাতত যাঁরা ভারত ‘এ’-র হয়ে টেস্ট খেলছেন।
সোমবার সকালে হরিয়ানার বিরুদ্ধে খেলার জন্য রোহতাক রওনা হয়ে গেলেন লক্ষ্মীরা। আগামী বৃহস্পতিবার ম্যাচ। আহত নাভেদ আহমেদের বদলে গেলেন প্রিনান দত্ত। এ সবের মধ্যেই দিল্লি কোচকে ফোন করে অশোক জেনে নেন, বাংলা গেলে তাঁদের প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলতে কোনও আপত্তি আছে কি না। তার পর দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের সঙ্গেও কথাবার্তা বলে নেন। কর্তারা আশ্বস্ত করেছেন যে, দিল্লি ওই ম্যাচে পুরো শক্তির টিম নামাবে। রোহতাকে উপস্থিত টিম ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য ফোনে বলছিলেন, “কলকাতায় বসে তো ম্যাচই পাচ্ছিলাম না। এখন তো দেখছি, সহবাগ-গম্ভীরদের বিরুদ্ধেও নামা যাবে।”
কেউ কেউ সব দেখে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন সিএবি-র ভূমিকা নিয়ে। বলা হচ্ছে, কোচ যা পারছেন, সেটা সিএবি কেন পারেনি এত দিন? শুধু তাই নয়, রঞ্জি অধিনায়কত্ব নিয়ে সরকারি ঘোষণাও ঝুলে রয়েছে। আপাতত বাংলার ক্যাপ্টেন হিসেবে গিয়েছেন লক্ষ্মী। কিন্তু যা পরিস্থিতি, রঞ্জি অধিনায়কত্ব নিয়ে ঘোষণা হতে দেরি আছে। সিএবি যুগ্ম-সচিব সুজন মুখোপাধ্যায় বলছিলেন, “টিমটা তো খেলতে গিয়েছে। খেলে ফিরুক। তার পর আমরা ঠিক করে ফেলব।” শোনা যাচ্ছে, চূড়ান্ত ঘোষণার আগে সিএবি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া এক বার ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন। যেহেতু তাঁর সঙ্গে আগে একপ্রস্ত কথাবার্তা হয়েছিল।
|