অন্ধ্রের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক মনমোহনের
য়াইএসআর কংগ্রেসের নেতা জগন্মোহন রেড্ডি শুরু করেছেন গত পরশু। আজ নয়াদিল্লিতে অনশন শুরু করলেন তেলুগু দেশম পার্টির নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডু।
অন্ধ্রপ্রদেশ ভাগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন ক্রমেই চাপ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর। রাজ্যে অশান্তি যত বাড়ছে ততই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়াচ্ছে জগন্মোহন, চন্দ্রশেখর ও বিজেপি। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ আজ তেলঙ্গানা-সীমান্ধ্র বিরোধ নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হন। সীমান্ধ্র এলাকার পাঁচ জন মন্ত্রীর সঙ্গে এ দিন বৈঠক করেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে ও স্বরাষ্ট্রসচিব অনিল গোস্বামী। রাজ্য ভাগের বিরোধিতা কিছু এলাকায় হিংসাত্মক হয়ে ওঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কিছুটা উদ্বিগ্ন।
জগন্মোহনের পরে অনশন শুরু করলেন চন্দ্রবাবু নায়ডুও।
সোমবার নয়াদিল্লিতে অন্ধ্র ভবনের সামনে। ছবি: পিটিআই।
উত্তেজনা কমাতে কংগ্রেসের তরফে দিগ্বিজয়, সিংহ আজ আশ্বাস দেন, “তেলঙ্গানা আলাদা রাজ্য হলেও রাজ্যের বাকি অংশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা হবে।” যদিও নিজস্ব রাজনীতির অঙ্কে চন্দ্রবাবু এই আশ্বাসকে আমল দিতে নারাজ। তাঁর অভিযোগ, “অন্ধ্র-ভাগ নিয়ে কংগ্রেস নোংরা রাজনীতি করছে। এক দিকে তারা তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস)-এর সঙ্গে কথা বলছে, অন্য দিকে সাহায্য নিচ্ছে ওয়াইএসআর-এরও। হিসেব বহুর্ভূত সম্পত্তির মামলায় জগন্মোহন এখনই কেন জামিনে ছাড়া পেলেন, দিগ্বিজয়কে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।”
এত দিন তেলঙ্গানা রাজ্য ভাগের পক্ষে গলা ফাটিয়ে এলেও বিজেপি এখন ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। ভবিষ্যতে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে শরিক পাওয়ার আশায় তারা কংগ্রেসের সঙ্গে জগন-চন্দ্রবাবুদের বিরোধ উস্কে দেওয়ার রণকৌশল নিয়েছে। আজও বিজেপি-র মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন অভিযোগ, করেন, কংগ্রেস আসলে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে তেলঙ্গানা নিয়ে। ওরা ভাবছে, জল যত ঘোলা হবে, ততই ফায়দা পাবে কংগ্রেস।”
বন্ধ, অবরোধ বিক্ষোভে এ দিনও অশান্ত ছিল রাজ্যের সীমান্ধ্র ও রায়লসীমা এলাকা। শনিবার রাতের অশান্তির পর কার্ফু জারি করা হয়েছিল বিজয়নগরম ও আশপাশের এলাকায়। সেখানে আজও তা জারি ছিল। রাজ্যে ব্যাহত হচ্ছে রেল যোগাযোগ। ভোগান্তি চরমে তুলেছে ১৩ অগস্ট থেকে চলা বিদ্যুৎকর্মীদের কর্মবিরতি।
মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডি কাল ধর্মঘট তোলার আবেদন জানিয়েছিলেন বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের কর্মীদের উদ্দেশে। তাতে ফল হয়নি। বস্তুত কিরণকুমারের ভূমিকা নিয়েই অস্বস্তিতে রয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। যার জেরে সন্ধে নামতেই হায়দরাবাদ-সহ রাজ্যের একটি বড় অংশ ডুবে যাচ্ছে অন্ধকারে। বিদ্যুতের অভাবে বিঘ্ন ঘটছে চিকিৎসার মতো অতি-গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাও। অন্ধ্রের এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী কী করা হচ্ছে, তা নিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিন্দে। অন্ধ্রপ্রদেশের অচলাবস্থা কাটাতে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে হস্তক্ষেপ করুক এই মর্মে একটি আর্জি পেশ হয়েছিল। শীর্ষ আদালত আজ সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। জনজীবন ব্যাহত হওয়া নিয়ে কোনও আর্জি পেশ হলে সেই আবেদন সুপ্রিম কোর্ট বিবেচনা করতে পারে বলে জানান প্রধান বিচারপতি পি সদাশিবমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.