|
|
|
|
অন্ধ্র ভাগের বিরুদ্ধে অনশন শুরু জগন্মোহনের |
সংবাদ সংস্থা • হায়দরাবাদ |
তেলঙ্গানা-বিরোধী আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়াতে অনশনে বসলেন ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতা জগন্মোহন রেড্ডি। সেই সঙ্গে তেলঙ্গানা গঠনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
তেলঙ্গানা গঠনের সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সায় দেওয়ার পরে অন্ধ্রপ্রদেশের বাকি অংশে বেড়েছে আন্দোলনের তীব্রতা। বন্ধের ডাক দিয়েছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস, অন্ধ্রের নন-গেজেটেড সরকারি কর্মীদের সংগঠন ও অন্য তেলঙ্গানা-বিরোধীরা। আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় জেলে থাকার সময়েও তেলঙ্গানা গঠনের বিরুদ্ধে অনশনে বসেছিলেন জগন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে অনশন ভঙ্গ করেন তিনি।
আজ অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরুর আগে হায়দরাবাদে জগনের লোটাস পন্ড রোডের বাড়িতে হাজির হন বহু ওয়াইএসআর কংগ্রেস সমর্থক। অনশনের মঞ্চে জগনের পাশে ছিলেন সাংসদ মেকাপতি রাজামোহন রেড্ডি। |
|
অনশনে জগন। ছবি: পিটিআই। |
অন্ধ্র বিভাজনের বিষয়ে কেন্দ্র একপেশে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি করেছেন জগন। নাম না করে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধীকে তাঁর কটাক্ষ, “বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করে রাজ্য বিভাজনের কথা আমরা কখনও শুনিনি। এক জন ছেলেকে প্রধানমন্ত্রী করতে চান। তাই রাজ্য বিভাজন করা হয়েছে।” এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন জগন। তাঁর প্রশ্ন, যখন দাগি সাংসদদের নিয়ে অর্ডিন্যান্স বাতিল হতে পারে, তখন তেলঙ্গানার সিদ্ধান্ত বদলাবে না কেন। গত কালই প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি বোৎসা সত্যনারায়ণ-সহ কয়েক জন কংগ্রেস নেতার বাড়ি ও দলীয় অফিসে হামলা চালায় তেলঙ্গানা-বিরোধীরা। বিজয়নগরমে বিক্ষোভকারীদের হটাতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয় পুলিশকে। কংগ্রেস নেতাদের বাড়ি ও দলীয় অফিসে হামলার জেরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিশাখাপত্তনম জেলার নানা এলাকায় সভা, রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন তেলঙ্গানা-বিরোধীরা।
অনেকের মতে, তেলঙ্গানা তৈরির পরে সেই রাজ্যে কংগ্রেসের জয়ের সম্ভাবনা আছে বলেই মনে করেন জগন। তাই সীমান্ধ্র অর্থাৎ, উপকূল অন্ধ্র ও রায়লসীমার সমর্থন পাওয়ার উপরেই জোর দিচ্ছেন তিনি। বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করলেও জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি জগন। কংগ্রেসও সীমান্ধ্র পুরোপুরি হাতছাড়া হওয়ার চেয়ে জগনের সঙ্গে হাত মেলানোকেই শ্রেয় বলে মনে করতে পারে। সীমান্ধ্রের সমর্থন পেতে ব্যগ্র তেলুগু দেশমের নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডুও অনশনের হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু, চন্দ্রবাবুর চেয়ে জগনের প্রভাব এখন অনেক বেশি, ধারণা রাজনীতিকদের। তেলঙ্গানা তৈরির সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মাধ্যমে অন্ধ্র বিধানসভায় অনুমোদনের জন্য পাঠাবে কেন্দ্র। তবে বিধানসভার মত মানতে বাধ্য নয় তারা। এখন বিদেশ সফরে গিয়েছেন প্রণববাবু। তেলঙ্গানা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রীই।” আগামী কয়েক দিনে তেলঙ্গানা ও সীমান্ধ্রের রাজনীতি কোন পথে যায় সে দিকেই এখন তাকিয়ে সবাই। |
|
|
|
|
|