|
|
|
|
কাশ্মীরে প্রায় শেষ সামরিক অভিযান, হত আরও ৪ জঙ্গি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীনগর |
জম্মু-কাশ্মীরের কেরন সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা আজ ফের ব্যর্থ করে দিল সেনাবাহিনী। সংঘর্ষে চার জঙ্গি নিহত হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৪টি একে-৪৭ রাইফেল-সহ বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনা সূত্রে খবর। কেরন সেক্টরে আগেই লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানও প্রায় শেষ হয়ে এসেছে বলে দাবি করেছেন সেনা কর্তারা। নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বৈঠকের আগেই কেরনে জঙ্গিদের সঙ্গে সেনার সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। ওই বৈঠকে স্থির হয়, নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি বজায় রাখতে দু’দেশের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস নিয়মিত কথা বলবেন। সেই আলোচনা এখনও হয়নি। বরং সাম্প্রতিক অনুপ্রবেশের সময়ে পাক সেনার বর্ডার অ্যাকশন টিমও ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকেছিল বলে ধারণা সেনাবাহিনীর।
কেরনের শালবাতো গ্রামে ১২ জনেরও বেশি জঙ্গি ঘাঁটি গেড়ে থাকার খবরে চাঞ্চল্য ছড়ায় নানা শিবিরে। কার্গিল লড়াইয়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে কি না তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তবে সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দেন সেনাপ্রধান বিক্রম সিংহ। শালবাতো-সহ কেরনের দুর্গম ভৌগোলিক অবস্থানই যে জঙ্গিদের সুবিধা করে দিয়েছে তা অবশ্য মানছেন তিনি।
সেনা কর্তারা জানিয়েছেন, কেরনে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটানো পাকিস্তানের পক্ষে বরাবরই সুবিধাজনক। কারণ, ওই এলাকায় অসংখ্য নালা, পাহাড়ের খাঁজ রয়েছে। ফলে, কাঁটাতারের কড়াকড়ি কম। জঙ্গিদের পক্ষে ঢোকা ও লুকিয়ে থাকাও সুবিধাজনক। ৯ থেকে ১০ হাজার ফুট উচ্চতা ও প্রাকৃতিক বাধার জন্য নিহত জঙ্গিদের দেহও উদ্ধার করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে দাবি সেনাবাহিনীর।
আজ সকালে শালবাতোর ২৫ কিমি পশ্চিমে ফতেগালি এলাকায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে চার জঙ্গি। সেনার দাবি, শালবাতো-সহ কেরনের বাকি এলাকায় তাদের অভিযান প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। তাই দৃষ্টি অন্য দিকে ঘোরাতে আজ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে জঙ্গিরা। এই নিয়ে কেরনে চলতি সংঘর্ষে ৩০ জন জঙ্গি নিহত হল বলে দাবি সেনার। কেরনে বেশ কিছু ব্যক্তি জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে বলেও ধারণা সেনা গোয়েন্দাদের। তাদের খুঁজে বের করতে তল্লাশি চলছে।
ভারত-পাক শীর্ষ স্তরে আলোচনা পাক সেনাবাহিনী ও জঙ্গিদের পক্ষে আদৌ মঙ্গলজনক নয়। ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরে যাওয়ার পরে আরও ‘জেহাদি’ কাশ্মীরে লড়াই করতে আসবে বলে হুমকি দিয়েছে লস্কর নেতা হাফিজ সঈদ। তাই অদূর ভবিষ্যতে জঙ্গি হানা বাড়বে বলেই আশঙ্কা গোয়েন্দাদের।
|
পুরনো খবর: শত্রু পাক সেনা না জঙ্গি, ধন্দ |
|
|
|
|
|